বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের (Abhishek Chatterjee) মৃত্যু বড় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে বাংলা বিনোদন জগতে। তাঁর মৃত্যুর পর বন্ধ হয়ে গিয়েছে ‘মোহর’ সিরিয়াল। ‘খড়কুটো’তেও (Khorkuto) ফিরে এসেছে অভিষেকের মৃত্যু শোক। বাস্তবের মতো পর্দাতেও প্রয়াত অভিষেক অভিনীত চরিত্র ডাঃ কৌশিক। পরপর দুবার ধাক্কা খেতে হয়েছে গুনগুনকে।
খড়কুটোর শুরু থেকেই ডাঃ কৌশিকের চরিত্রে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন অভিষেক। মা মরা মেয়ে গুনগুনের কাছে তার ড্যাডিই ছিল সব। মেয়ে জামাইকে একসঙ্গে আনার নেপথ্যেও বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। গুনগুন ওরফে তৃণা সাহা (Trina Saha) জানিয়েছিলেন, ক্যামেরার পেছনেও অভিষেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা বাবা মেয়ের মতোই ছিল।
অনেকদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করতে করতে পরিবারের মতো হয়ে ওঠেন সহকর্মীরা। অভিষেকের সঙ্গে বসে দুপুরের খাবারও খেতেন তৃণা। সেই মানুষটার আচমকা মৃত্যুর খবর বড় ধাক্কা দিয়েছিল অভিনেত্রীকে। শুট ছেড়ে প্রয়াত অভিনেতার শেষযাত্রায় পৌঁছেছিলেন তৃণা। অভিষেককে শেষ শয্যায় শায়িত দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি।
অভিষেকের মৃত্যুর পর থেকে নাকি সেটেও মনমরা হয়ে থাকতেন তৃণা। গুনগুনের মতো প্রাণোচ্ছ্বল একটা মেয়েকে এমন চুপচাপ হয়ে থাকতে দেখে ভাল লাগত না কারোরই। শেষে নাকি অভিনেত্রীর মন ভাল করতে একটি আইসক্রিমের গাড়ি ধরে আনা হয়।
সেটে হঠাৎ আইসক্রিমের গাড়ি দেখেই এক নিমেষে মন ভাল গুনগুনের। তখন তিনিই সহ অভিনেতা অভিনেত্রী, কলাকুশলীদের টেনে টেনে নিয়ে আসেন আইসক্রিম পার্টি করতে। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর এভাবেই কাজ চলছে খড়কুটোর সেটে।
সম্প্রতি সিরিয়ালে দেখানো হয়েছে, প্রয়াত হয়েছে গুনগুনের ড্যাডি। একটি কনফারেন্সে অংশ নিতে ইতালি গিয়েছেন গুনগুনের ড্যাডি। হঠাৎ করেই সৌজন্যর কাছে খবর আসে, আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন ডাঃ কৌশিক। তারপরেই সব শেষ। যেন বাস্তবটাই আবারো পর্দায় তুলে ধরলেন সিরিয়াল নির্মাতারা।
অদ্ভূত ভাবে ড্যাডির মৃত্যুর আগের দিন রাতেই হঠাৎ করে গুনগুন বায়না ধরে বাবার সঙ্গে কথা বলবে বলে। কিন্তু পরিবারের কেউই এই মর্মান্তিক খবর গুনগুনকে দিয়ে উঠতে পারেননি। কারণ সে অন্তঃসত্ত্বা। পিতৃবিয়োগের শোক কীভাবে সামলে উঠবে সেটাই দেখার।