বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক যুগের অবসান হল রবিবার। প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান গায়িকা লতা মঙ্গেশকর (lata mangeshkar)। শনিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন তাঁর ভাই বোনেরা। আশা ভোঁসলে, উষা মঙ্গেশকররা হারালেন মাতৃস্থানীয়া লতা দিদিকে। সারা জীবন অবিবাহিত থেকে ছোট ছোট ভাই বোনেদের আগলে রেখেছিলেন লতা মঙ্গেশকর।
গোটা জীবন ধরে সঙ্গীতেরই আরাধনা করে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু বিয়ের কথা কখনো ভাবেননি কেন গায়িকা? এ বিষয়ে কোনো আক্ষেপও কি হয়নি তাঁর কখনো? একবার সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে লতা জানিয়েছিলেন, ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই সবকিছু হয়। যা হয় তা ভালোর জন্যই হয়।
লতা মঙ্গেশকর এও জানান, আগে যদি এই প্রশ্নটা তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হত তাহলে তিনি হয়তো অন্য রকম বলতেন। কিন্তু এখন আর তাঁর কোনো আক্ষেপ নেই। বিবাহিত জীবন মিসও করেন না তিনি। তবে তিনি মাঝে মাঝে একাকীত্বে ভোগেন। কারণ তাঁর সব বন্ধুরা এখন চলে গিয়েছেন। সেই সব সোনালি দিনগুলো এখন মিস করেন তিনি।
শোনা যায় এক সময় লতা মঙ্গেশকরও কাউকে মন দিয়েছিলেন। কিন্তু পূর্ণতা পায়নি সে প্রেম। সম্ভবত সে কারণেই আর কখনো বিয়ের কথা ভাবেননি লতা। শোনা যায়, দুঙ্গরপুরের রাজ ঘরানার মহারাজ রাজ সিং এর প্রেমে পড়েছিলেন লতা।
মহারাজ আবার গায়িকার দাদার ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলেন। কিন্তু প্রেম পরিণতি পায়নি। রাজ সিং নাকি নিজের বাবা মায়ের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন যে কোনো সাধারন ঘরের মেয়েকে রাজ বংশের বৌ করবেন না। সে প্রতিজ্ঞা ভাঙেননি রাজ সিং। কখনো বিয়েই করেননি তিনি।
অপরদিকে লতা মঙ্গেশকরের দাবি ছিল, গোটা সংসারের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তাই আলাদা করে নিজের সংসার বানানোর কথা ভাবেননি তিনি। লতার থেকে ছয় বছরের বড় ছিলেন রাজ সিং। আদর করে বন্ধুর বোনকে মিট্টু বলে ডাকতেন তিনি।
পকেটে সবসময় একটি রেকর্ডার নিয়ে ঘুরতেন রাজ। তাতে লতার কিছু বিখ্যাত গান রেকর্ড করা থাকত। ক্রিকেটের প্রতিও রাজ সিংয়ের আগ্রহ ছিল বলে শোনা যায়। উল্লেখ্য, মহারাজ রাজ সিং ছাড়া আর কারোর সঙ্গে কখনো লতা মঙ্গেশকরের নাম জড়ায়নি। ২০০৯ সালে প্রয়াত হন রাজ সিং।