ভারতীয় রেলের একমাত্র জংশন স্টেশন, যা আজ সুনসান! বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু আগেই, কারণ কী?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল ট্রেন (Train)। এমনকি, স্বাধীনতার আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তকে সংযুক্ত করেছিল রেলপথ। শুধু তাই নয়, সেগুলির মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় থাকত প্রতিবেশী দেশগুলির সাথেও। এদিকে, আমাদের দেশে রেলের এই বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে নানান অজানা তথ্য।

এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে দেশের এমন একটি জংশন স্টেশনের বিষয় জানাবো যেটির মাধ্যমে এক সময়ে সরাসরি পূর্ব পাকিস্তানে যাওয়া যেত। তবে, আজ সেই স্টেশন হয়ে গিয়েছে বন্ধ। মূলত, আজ আমরা আপনাদের গিতালদহ স্টেশনের বিষয়ে জানাবো। এই স্টেশনটি আলিপুয়ারদুয়ার-বামনহাট শাখার ব্রডগেজ লাইনে অবস্থিত।

শুধু তাই নয়, এই স্টেশন আমাদের রাজ্যের কোচবিহার জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি বিলুপ্ত রেল ট্রানজিট পয়েন্ট। অপরিদকে, বাংলাদেশের দিক থেকে সংশ্লিষ্ট পয়েন্টটি হল লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট। ১৮ এবং ১৯ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে আসাম থেকে সরাসরি ট্রেন চলে আসত গিতালদহ স্টেশনে। তারপর সেখান থেকে ট্রেন বর্তমানে বাংলাদেশের রংপুর হয়ে পৌঁছে যেত বিহারের কাটিহারে। তবে, ভারত-বাংলাদেশ বিভক্ত হওয়ার পর এই ট্রেন চলাচলে ছেদ পড়ে।

উল্লেখ্য যে, ১৯৫৫ সালে যখন ভারত ও পাকিস্তান এই দুই দেশের মধ্যে পুনরায় রেল চলাচলে সম্মত হয়েছিল তখন লালমনিরহাট-মোগলহাট এবং গিতালদহ রুটটিতে ট্রেন চলাচল করত। পাশাপাশি, ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের মাধ্যমে মোগলহাট হয়ে ক্রস ট্রাফিক চলাচল অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পর এই ট্রেন চলাচল প্রভাবিত হয়।

whatsapp image 2023 04 19 at 3.00.53 pm

পাশাপাশি, জানা গিয়েছে যে, ১৯৮২ সাল পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেনগুলি প্রায়শই মনসাই নদীর সেতু পার করে গীতালদহ-মোগলহাট হয়ে বাংলাদেশে আসত। এমতাবস্থায়, এই রূটটি ফের পুনরুজ্জীবিত করার পরে কলকাতাগামী ট্রেন চালানো হলে কোচবিহার এবং আসামের বাসিন্দারা উপকৃত হতে পারেন বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর