বাংলা হান্ট ডেস্ক: ছোটো থেকেই লেখার হাত সন্দীপন বাবুর অত্যন্ত ভালো। কলম ধরলেই তিনি যেন একপ্রকার শক্তি পেয়ে যান। বাস্তব হোক কিংবা কল্পনা……কালি আর কলমের ছোঁয়ায় তিনি সমস্ত কিছু ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তাঁর লেখা শব্দ শুধু মস্তিষ্কে দাগ কাটে এমন নয়, একইসাথে মনেও দাগ কাটে। তিনি যখন নবম শ্রেণিতে পড়তেন, তখন থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। ক্লাস যত বাড়তে থাকে লেখালেখির প্রতি চর্চাও ততই বাড়তে থাকে। এমনকি লেখার হাতও হতে থাকে পাকাপোক্ত। বর্তমানে পেশায় তিনি একজন শিক্ষক (Teacher)। কিন্তু পেশায় শিক্ষক হলেও মনে-প্রাণে তিনি একজন কবি।
পেশায় শিক্ষক (Teacher), মনে-প্রাণে কবি:
তাঁর পুরো নাম হচ্ছে সন্দীপন বেরা। বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায়। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় থাকেন তিনি। সেখানকার তুতরাঙ্গা অঞ্চল শিক্ষা নিকেতন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক (Teacher) হিসেবে নিযুক্ত। ইতিহাস নিয়ে তাঁর পড়াশোনা। কিন্তু ইতিহাস পড়ানোর বিষয় হলেও মন পড়ে থাকে বাংলায়। ইতিমধ্যেই সন্দীপন বাবু একাধিক কবিতা সংকলিত বই প্রকাশ করে ফেলেছেন।
শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে বেশ কয়েকটি সংখ্যার ষাণ্মাসিক কবিতার ম্যাগাজিনও সম্পাদনা করেছেন তিনি। সারাদিন বাবর-আকবরের পাঠ পড়ালেও, অবসর সময় পেলেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কবিতা লেখেন। কলমের জাদুতে তিনি তুলে ধরেন তাঁর অব্যক্ত কথা। কষ্ট-দুঃখ-আনন্দ-প্রতিবাদ-প্রতিবাদ ছাড়াও সামাজিক নানা বিষয় ফুটে উঠেছে তাঁর ছন্দের মাধ্যমে। এমনকি তিনি কবিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো, বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদ, বাস্তব চিত্রকেও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ভারতে এসেই সুর নরম! পর্যটকদের উদ্দেশ্যে মলদ্বীপে বেড়াতে যাওয়ার আর্জি মুইজ্জুর, জানালেন…..
তবে, আজ এত এত বই প্রকাশ পেলেও, প্রথমদিকে স্থানীয় পত্র-পত্রিকাতেই তাঁর লেখা ছাপা হত। প্রথমদিকে তাঁর লেখা এত জনপ্রিয়তা না পেলেও পরবর্তীতে সেগুলি পাঠকদের পছন্দ হতে থেকে। বিশেষ করে সন্দীপন বাবুর প্রতিবাদী ছন্দ, সামাজিক অবস্থানের পরিকাঠামো এই সমস্ত কিছু মানুষদের মন ছুঁয়ে যায়।
আরও পড়ুন: অপ্রতিরোধ্য হার্দিক! ভেঙে দিলেন কোহলির দুর্ধর্ষ রেকর্ড, গড়লেন “বিরাট” নজির
তিনি রাস্তাঘাটে যাই দেখেন সেগুলি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন তাঁর লেখায়। ক্লাসের অবসরে হোক কিংবা ব্যস্ত ট্রামের ভিড়ে, সর্বদা কাগজ-কলম তাঁর সঙ্গী। শিক্ষকতার পাশাপাশি সন্দীপন বাবুর এই চিন্তাভাবনা আজ তাঁর শিল্পসত্তাকে এক আলাদাই রূপ দিয়েছে। বিশেষ করে কবিতা, ছন্দ, শব্দ সমস্ত কিছুকে তিনি এক আলাদা অলংকারে সজ্জিত করেছেন।