বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরপর ছক্কা হাঁকাচ্ছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। সুপারহিট ‘পুষ্পা’র পর ‘আর আর আর’ও ব্লকবাস্টার হিট। প্রত্যাশা মতোই ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ও (KGF Chapter 2) নিরাশ করেনি দর্শকদের। মাত্র দুদিনেই ২০০ কোটি তুলে প্রথমেই ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছিল কেজিএফ চ্যাপ্টার ২। বিশেষ করে হিন্দি সংষ্করণে ব্যবসার পরিমাণ রীতিমতো চমকপ্রদ। কিন্তু জানেন কি রকি অর্থাৎ যশের জন্য হিন্দিতে কে কণ্ঠ দিয়েছেন? এত সাফল্য কার অবদান?
বলিউডকে ছাপিয়ে ক্রমশ মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। বিভিন্ন ভাষার ছবিগুলি হিন্দিতেও ভাল ব্যবসা করছে। সুপারহিট দক্ষিণী ছবিগুলির মধ্যে ‘আর আর আর’ এর হিন্দি ডাবিংয়ের জন্য কোনো হিন্দিভাষীকেই প্রয়োজন হয়নি। অভিনেতা রাম চরণ এবং জুনিয়র এনটিআর নিজেরাই হিন্দিতেও কণ্ঠ দিয়েছিলেন।
কিন্তু কেজিএফ এর বেলায় এমনটা হয়নি। হিন্দি ডাবিংয়ে যশের জন্য নিজের কণ্ঠ ধার দিয়েছেন জনপ্রিয় শিল্পী সচিন গোলে। ডাবিং ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ পরিচিত নাম সচিন। হিন্দি সংষ্করণটিতে যে ধামাকাদার সংলাপগুলি রয়েছে সেগুলিও শোনা গিয়েছে সচিনের কণ্ঠে।
জানিয়ে রাখি, ২০১৮ তে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ১’ এর হিন্দি সংষ্করণেও যশের হয়ে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সচিন। কেজিএফ সিরিজের পরপর দুটি ছবিতেই কণ্ঠ দিলেন তিনি। এর থেকেই স্পষ্ট যশের সঙ্গে সচিনের কণ্ঠস্বর কতটা মেলে। অবশ্য একা যশ নন। আল্লু অর্জুন, ধনুষ সহ একাধিক দক্ষিণের তারকার ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
বাহুবলী, পুষ্পা, আর আর আর যে ধারা শুরু করেছিল তা গৌরবের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’। সুপারস্টার যশের প্রথম ছবি ‘কেজিএফ’ যে প্রত্যাশা তৈরি করেছিল তা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে সিক্যুয়েল ছবিটি। ফিল্ম বিশেষজ্ঞদের দাবি সত্যি করে মুক্তির দিন থেকেই ব্যবসায় গতি ধরে ফেলেছে ছবিটি। পরিস্থিতি এখন এমনি যে ভোর তিনটে-চারটে সময়ও শো রাখা হচ্ছে!
আগাম টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আর আর আর কেও ছাপিয়ে গিয়েছিল এই ছবি। করোনা পরবর্তী সময়ে এই ছবির টিকিটই সবথেকে বেশি আগাম বিক্রি হয়েছে। এখন শো দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না হল মালিকরা।
তাই এত ভোরবেলা শোয়ের সময় রাখা হচ্ছে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়, সেই শোগুলিতেও দর্শক সংখ্যা চমকে দেওয়ার মতো। ভোর তিনটের সময় শো হাউজফুল হচ্ছে, এমনটা আগে কোনো ছবির ক্ষেত্রে হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। নতুন সর্বভারতীয় সুপারস্টার হিসাবে উঠে আসছে যশের নাম।