বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোনা (Gold) নয়, ভারতের বাজারে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তর শুরু করছে এই ধাতু। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সোনাকে (Gold) ছাপিয়ে যাবে এই ধাতুর ব্যবহার। আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার সমীক্ষার ফলাফল বলছে, এই ধাতুর কনসাম্পশন আগামী ১০ বছরের মধ্যে ১.১ মিলিয়ন টন (Precious Metal) থেকে বেড়ে ২ মিলিয়ন টনে পৌঁছে যেতে পারে, যা কিনা বর্তমানের থেকে প্রায় দ্বিগুণ।
ব্যবহারের হিসেবে পিছিয়ে যেতে পারে সোনা (Gold)
ভারতের বাজারে ক্রমশ ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে জিঙ্কের (Zinc)। আন্তর্জাতিক জিঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন (IZA) তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, আগামী দিনে ভারতের বাজারে সোনাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে জিঙ্কের ব্যবহার। আন্তর্জাতিক জিঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড্রিউ গ্রিন জিঙ্ক কলেজ অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, ‘ভারতে জিঙ্কের কনসাম্পশন এবং চাহিদা এখন ১.১ মিলিয়ন টন রয়েছে।
আরোও পড়ুন : সব আশায় জল! DA বৃদ্ধি নিয়ে নয়া আপডেট! মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের
এই পরিসংখ্যানের থেকে ভারতে (India) জিঙ্ক উৎপাদনের হার অনেক কম। আগামী ১০ বছরে এই চাহিদা বেড়ে হবে ২ মিলিয়ন টন। এমনকী আশ্চর্যের বিষয় হল সোনার থেকেও জিঙ্কের চাহিদা ভারতের বাজারে অনেক অনেক গুণ বেশি রয়েছে।’ বর্তমানে ভারতের বাজারে প্রতি বছর সোনার চাহিদা বা কনসাম্পশন ৭০০ টন, যা কিনা জিঙ্কের থেকে অনেকটাই কম।
আরোও পড়ুন : কনকনে ঠান্ডায় বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলার ২ জেলা! কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানিয়ে দিল আলিপুর
বিশ্ব বাজারে উৎপাদনের ভিক্তিতে প্রতি বছর ১৩.৫ মিলিয়ন টন জিঙ্কের চাহিদা রয়েছে। জিঙ্কের পার ক্যাপিটা কনসাম্পশনের উল্লেখ করলে বলতে হয় বিশ্ব বাজারে ভারতের তুলনায় মাত্র ৪-৫ গুণ বেশি রয়েছে জিঙ্কের চাহিদা। জিঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের কথায়, আন্তর্জাতিক চাহিদার সাথে পাল্লা দিতে হলে দেশের বেশ কিছু সেক্টরে ব্যবহার বাড়াতে হবে জিঙ্কের।
৯০-৯৫ শতাংশ স্টিল গ্যালভানাইজ করা হয় গ্লোবাল অটোমেশন ইন্ডাস্ট্রিতে, সেক্ষেত্রে এখানে গ্রোথ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে ভারতের বাজারে ২৩% স্টিল জিঙ্কের পরিমাণ। অ্যান্ড্রিউ গ্রিন বলেন, আন্তর্জাতিক স্তরে সৌরশক্তি ক্ষেত্রে জোর দিলে জিঙ্কের ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে পারে ৪৩ শতাংশ হারে। অ্যান্ড্রিউ গ্রিনের ধারণা, ২০৩০ সালের মধ্যে জিঙ্কের ব্যবহার আশাব্যঞ্জক ভাবে বৃদ্ধি পাবে বায়ুশক্তি ক্ষেত্রেও।