৮ মাস জলে ডুবে থাকে এই রহস্যময় মন্দির! এর ঐতিহাসিক মাহাত্ম্য জানলে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের আনাচে কানাচে এমন কিছু মন্দির রয়েছে যেগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্য অবাক করে দেয় সবাইকে। আর যে কারণে ভক্তদের কাছেও মন্দিরগুলি নিয়ে তৈরি হয় প্রবল আগ্রহ। বর্তমান প্রতিবেদনেও আমরা এমনই এক মন্দিরের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করতে চলেছি যেটি বছরে প্রায় ৮ মাস জলে ডুবে থাকে। শুধু তাই নয়, এই মন্দিরের অবাক করা কাহিনি জানলে চমকে উঠবেন আপনিও!

মূলত, পাঠানকোট থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে পং ড্যামের হ্রদে বাথু কি লাদি মন্দিরটি অবস্থিত রয়েছে। সত্তরের দশকে, একটি হ্রদ তৈরির কারণে মন্দিরটি প্লাবিত হয়। মূলত, বৃষ্টির সময় হৃদের জলে মন্দিরটি ডুবে যায়। এমতাবস্থায়, এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত জলের স্তর হ্রাস পেলে মন্দিরটি পুনরায় আবির্ভূত হয়ে যায়। এদিকে, এত বছর জলে ডুবে থাকা সত্ত্বেও মহাভারতের সাথে সম্পর্কিত এই মন্দিরটি এখনও স্বমহিমায় বিরাজমান রয়েছে।

মনে করা হয় এই মন্দিরটি পাণ্ডবরা তৈরি করেছিলেন এবং এখানে আরও ১১ টি মন্দির নির্মিত হয়েছিল। পাশাপাশি, আজও এই মন্দিরে স্বর্গের সিঁড়ি দেখা যায়। এখানে থাকা ৪০ টি সিঁড়িকে আগত দর্শনার্থীরা অত্যন্ত বিশ্বাসের সাথে পূজা করেন। শুধু তাই নয়, এই মন্দির থেকে কিছু দূরে একটি পাথর রয়েছে। যেটি স্বয়ং ভীম নিক্ষেপ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, নুড়ি মারলে এই পাথর থেকে রক্ত ​​বের হয়।

এছাড়াও, এই মন্দিরের চারপাশে কিছু ছোট দ্বীপ রয়েছে। যার মধ্যে একটি পর্যটনের জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত। জানা গিয়েছে, সেই দ্বীপটি রেনসার নামে পরিচিত। সেখানে রেনসার বন বিভাগের কিছু রিসর্ট রয়েছে যেখানে পর্যটকদের থাকার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

এই পুরো এলাকাটিকে ভারত সরকার পাখির অভয়ারণ্য বা পরিযায়ী পাখিদের আশ্রয়ের জন্য সুরক্ষিত জলাভূমি হিসাবে চিহ্নিত করেছে। পাখিদের নিয়ে পড়াশোনা করতে আসা শিক্ষার্থী, বিজ্ঞানী বা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি সেরা জায়গা। পাশাপাশি, এখানে প্রতিনিয়ত বিদেশি পর্যটকরাও আসা-যাওয়া করছেন।

7 1518157632

হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার তহসিল জাওয়ালির অধীনে আসা এই মন্দিরে সড়কপথে যাওয়া যায়। তহসিল সদর দফতর, জাওয়ালি থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাশাপাশি, এই মন্দিরটিতে কেহরিয়ান-ধান-চালওয়ারা-গুগলদা লিঙ্ক রোড হয়ে গাড়িতেও পৌঁছানো যায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর