বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় বিষয় সামনে এসেছে। তবে, তার আগে জানিয়ে রাখি, বর্তমানে আমাদের দেশ ভারত (India) জার্মানি, জাপান, চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায়, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকস (Goldman Sachs) দাবি করেছে যে, ভারত ২০৭৫ সালের মধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে।
এদিকে, ওই অর্থনৈতিক সংস্থার অনুমান অনুযায়ী, ভারত এক্ষেত্রে জাপান এবং জার্মানির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও চ্যালেঞ্জ করতে প্রস্তুত। মূলত, উদ্ভাবনের পাশাপাশি, প্রযুক্তি, উচ্চ মূলধনের বিনিয়োগ এবং কর্মীদের ক্রমবর্ধমান উৎপাদনশীলতার ওপর ভর করেই আগামী বছরগুলিতে ভারতের অর্থনীতি অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
এদিকে, মোট রপ্তানির বিষয়টিও সামগ্রিকভাবে ভারতের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেছে গোল্ডম্যান স্যাকস। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই এস এণ্ড পি গ্লোবাল এবং মরগান স্ট্যানলির মতো অর্থনৈতিক সংস্থাগুলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।
এমতাবস্থায়, গোল্ডম্যান স্যাকসে কর্মরত ভারতের অর্থনীতিবিদ শান্তনু সেনগুপ্ত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, “আগামী দুই দশকে, ভারতের জনসংখ্যার নিরিখে নির্ভরশীল ব্যক্তির অনুপাত আঞ্চলিক অর্থনীতির মধ্যে সবথেকে কম হবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মোট শ্রম সক্ষম জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্ভরশীলদের সংখ্যা কত সেই হিসেবে নির্ভরশীলতার অনুপাত পরিমাপ করা হয়।
পাশাপাশি, ওই অর্থনীতিবিদ আরও জানিয়েছেন যে, ভারতের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে আগামী সম্ভাবনাতে পরিণত করার প্রধান চাবিকাঠি হল শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ আরও বাড়ানো। তিনি বলেন, আগামী ২০ বছরের জন্য বৃহৎ অর্থনীতিগুলির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতেই নির্ভরশীলতার অনুপাত সবচেয়ে কম হবে। এদিকে, গোল্ডম্যান স্যাকস এই রিপোর্টে বলেছে, বেসরকারি খাতে উৎপাদন ও পরিষেবা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি হল উপযুক্ত সময়। যার ফলে দেশে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি একটি বৃহৎ শ্রমশক্তিকে ধারণ করার ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে।
এছাড়াও, গোল্ডম্যানের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ভারতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হল মূলধন বিনিয়োগ। রিপোর্ট অনুযায়ী, “বিগত ১৫ বছরে ভারতে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি শ্রমশক্তির নিরিখে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার পুরুষদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। মূলত, মহিলারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ির কাজে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকার ফলে কর্মক্ষেত্রে আসতে পারছেন না।”