তিন তিনটি পদ্ম পুরস্কার প্রাপক, পেয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি, আজ দুবেলার খাবার জোটে না এই শিল্পীর!

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তিন তিনটি পদ্ম পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে। দেশের সাংস্কৃতিক জগতের অন্যতম সেরা পুরস্কার দিয়েও সম্মানিত করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর প্রতিভা দেশের সম্পদ। অথচ এখন দুবেলার খাবার জোগাড় করতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছেন শিল্পী (Artist)। নষ্ট হচ্ছে তাঁর ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভা।

দেশের অন্যতম প্রতিভাবান শিল্পী (Artist) তিনি

তীজন বাঈ, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পাণ্ডবানী ফোক শিল্পীদের (Artist) মধ্যে অন্যতম তিনি। নিজের প্রতিভার জোরে দেশ বিদেশের নানান সম্মানীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অথচ বর্তমানে তাঁর পরিস্থিতি চোখে জল এনে দেবে। গত বছর নিজের ছোট ছেলেকে হারিয়েছেন তিনি। শোকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বর্তমানে শয্যাশায়ী অবস্থায় রয়েছেন একসময়ের জনপ্রিয় শিল্পী (Artist)।

This padma awardee artist is struggling to earn food

পেনশন আটকে রয়েছে দীর্ঘদিন: উল্লেখ্য, ছত্তিসগড়ে শিল্পীদের (Artist) জন্য মাসিক ২০০০ টাকা সরকারি পেনশন এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ২৫,০০০-৫০,০০০০ টাকা পর্যন্ত ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্যের সংষ্কৃতি বিভাগ থেকে দেওয়া হয়ে থাকে এই টাকা। কিন্তু বিগত আট মাস ধরে বারংবার পেনশনের জন্য অনুরোধ করেও অর্থ হাতে পাননি তীজন বাঈ এর ছেলেরা। এমতাবস্থায় ছত্তিসগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে শিল্পীর (Artist) প্রাপ্য টাকা তাঁকে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন : ‘ঝুঁকেগা নেহি…’, পুষ্পাকে ঘোল খাইয়ে বাংলায় অব্যাহত বহুরূপীর দাপট, ৭০ দিন পরেও হাউজফুল! শিবপ্রসাদ বললেন…

পেয়েছেন দেশের এবং আন্তর্জাতিক সম্মান: উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন তীজন বাঈ। ২০০৩ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০১৯ সালে পদ্মবিভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত হন তিনি। পাশাপাশি ১৯৯৫ সালে তিনি পেয়েছিলেন ভারতীয় সঙ্গীত জগতের সর্বোচ্চ সম্মান সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার। শুধু দেশের মধ্যে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও সম্মানিত হয়েছেন তীজন বাঈ। জাপানের সর্বোচ্চ সম্মান ফুকোকা আর্টস অ্যান্ড কালচার প্রাইজ উঠেছিল তাঁর হাতে।

আরো পড়ুন : পাকিস্তানি অভিনেত্রীর সঙ্গে লুকিয়ে… ‘কুকম্ম’ করতে গিয়ে ধরা পড়েন রণবীর! কেরিয়ার লাটে ওঠে নায়িকার

অথচ যার জন্য এত সম্মান, এত পুরস্কার, সেই পাণ্ডবানী ফোক শিল্পের (Artist) জন্যই একসময় নিজের সম্প্রদায় থেকেই বিতাড়িত করা হয়েছিল তীজন বাঈকে। কারণ এই পাণ্ডবানী ফোক গান সাধারণত মহিলাদের গাইতে শোনা যায় না। কিন্তু দমিয়ে রাখা যায়নি তীজন বাঈকে। নিজে একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে পড়শিদের থেকে খাবার চেয়ে দিন কাটিয়েছেন। ১৩ বছর বয়সে প্রথম বার অনুষ্ঠান করেন তিনি। প্রথম পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ১০ টাকা। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ভিলাই স্টিল প্লান্টেও কাজ করেছেন তীজন বাঈ।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর