’১৪ অক্টোবর থেকে…’! জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসকরা! এক সিদ্ধান্তে তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দশ দফা দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার সরকারের তরফ থেকে বৈঠকের জন্য আহ্বান জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বৈঠক শেষে জুনিয়র চিকিৎসকরা স্পষ্ট জানান, তাঁদের আমরণ অনশন চলবে। একইসঙ্গে বলেন, সরকারের তরফ থেকে কোনও ইতিবাচক বার্তা মেলেনি। এবার জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) পাশে দাঁড়িয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তাররা।

  • জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) সমর্থনে প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তাররা!

সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত একটি চিঠির ছবি শেয়ার করেন ডঃ অনুস্মিতা মুখোপাধ্যায়। দাবি করা হয়েছে, এবার একটি নামি প্রাইভেট হাসপাতালের (Private Hospital) ডাক্তারেরা ‘কর্মবিরতি’ করবেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সকল পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডঃ অনুস্মিতা মুখোপাধ্যায়ের পোস্ট থেকেই জানা গিয়েছে একথা।

সেই পোস্টে দেখা যাচ্ছে, একটি নামি প্রাইভেট হাসপাতালের ডিএমএসকে চিঠি লিখে জরুরি পরিষেবা বাদে বাকি সকল পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন ডাক্তাররা। পুজোর সময় যাবতীয় পরিষেবা দেওয়া হলেও, পুজো মিটলেই ‘কর্মবিরতি’ করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে এই ‘কর্মবিরতি’ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। ডঃ অনুস্মিতা মুখোপাধ্যায়ের পোস্ট থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। একই পথে হেঁটেছে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালও। সেখানেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, ১০ অক্টোবর তথা আজ সকাল ১১টা থেকে ১৪ অক্টোবর অবধি জরুরি পরিষেবা বাদে বাকি সকল পরিষেবা বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে তা বাড়ানো হতে পারে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পুজোর আবহেই লক্ষ্মীলাভ! রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৬০০০ টাকা বোনাস! জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি

এদিকে গতকাল আবার জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) বৈঠকের জন্য ডেকেছিল সরকার। প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে এই বৈঠক চলে বলে খবর। দীর্ঘক্ষণ ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানান জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার।

Junior doctors

বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেবাশিস বলেন, ‘সরকারের এতখানি অনমনীয়তা আশা করিনি। শুধু সময় নষ্ট। বৈঠক নিষ্ফলা। রাজ্য সরকার কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেয়নি। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব, সেই কারণে আমরা আজ আন্দোলনে। একটাও সদর্থক উত্তর পাব না, এই রকমটা ভাবিনি’।

এখানেই না থেমে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ দেবাশিস বলেন,’এতদিন কি সরকার বসেছিল যে আমরা কতদিনে অনশনে বসব? কিছু নতুন বলা হয়নি। স্রেফ মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, কাজ হতে যে সময় লাগে সেটা সবাই জানে। তবে আমরা নির্দিষ্টভাবে অগ্রগতির সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিলাম। ওরা বলছেন, নির্দিষ্ট করে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়’।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর