বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে শেয়ারবাজারে (Share Market) বিনিয়োগের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। এমতাবস্থায়, স্টক মার্কেট বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। যদিও কেউ কেউ আবার ইন্ট্রা ডে থেকেও টাকা আয় করেন। তবে, তা দেখা যায় না বললেই চলে। এমতাবস্থায়, যাঁরা দীর্ঘদিন স্টক ধরে রেখেছেন, তাঁরা ভালো রিটার্ন পান। কোনো বিনিয়োগকারী দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগকে হোল্ড করে রাখলে বোনাস শেয়ার, বাই ব্যাক, স্টক স্প্লিটের মত সুবিধা পান।
TCS এর আশ্চর্যজনক শেয়ার: টাটা গ্রুপের (Tata Group) বিখ্যাত কোম্পানি TCS-এর স্টকটি গত কয়েক বছরে বিনিয়োগকারীদের দুর্দান্ত লাভ এনে দিয়েছে। মূলত, কোম্পানির তরফে বোনাস শেয়ার ইস্যু করায় বিনিয়োগকারীরা ভালোই লাভবান হয়েছেন। টাটা গ্রুপ এই স্টকে গত ১৮ বছরে তিনবার ১:১ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। এমতাবস্থায় ১৮ বছর আগে, একজন বিনিয়োগকারী যদি এই স্টকটিতে অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন সেক্ষেত্রে তিনি ২.২ কোটি টাকা উপার্জন করতেন।
সর্বোচ্চ ৪,০৪৫ টাকা: প্রথমত, TCS ২০০৬ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১:১ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল। এরপর ২০০৯ সালে এবং তারপর ২০১৮ সালে বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা হয়। এমতাবস্থায়, শেয়ারটির দাম বর্তমানে পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৩,২৫৩ টাকায়। অর্থাৎ, এই স্টকটি ১২০ টাকা থেকে ৩,২৫৩ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে, ৫২ সপ্তাহের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ ৪,০৪৫.৫০ টাকায় ছিল।
এভাবেই বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে করপাস বেড়েছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০০৪ সালে TCS-এর শেয়ারের দাম ছিল ১২০ টাকা। পাশাপাশি তখন এক লক্ষ টাকায় ৮৩৩ টি শেয়ার পাওয়া যেত। ২০০৬ সালে বোনাস শেয়ার পাওয়ার পর তা বেড়ে ১,৬৬৬-তে দাঁড়ায়। এরপর ২০০৯ সালের জুন মাসে আবার বোনাস শেয়ার পাওয়ার পর শেয়ার বৃদ্ধি হয় পৌঁছে যায় ৩,৩৩২-এ।
এদিকে, কোম্পানিটি ২০১৮ সালেও বোনাস শেয়ার দিয়েছে। যার ভিত্তিতে এটি বেড়ে ৬,৬৬৪ হয়ে যায়। এমতাবস্থায়, গত বুধবার স্টকটি ৩,২৫৩ টাকায় বন্ধ হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আজ এই করপাস বেড়ে হয়েছে প্রায় ২.১৭ কোটি টাকায়।