বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্র থেকে শুরু করে রাজ্য, মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছে সরকার। এর মধ্যে বহু প্রকল্পে আবার আর্থিক ভাতা দেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) কথা বলা যায়। এই স্কিমের অধীন বাংলার মহিলাদের যথাক্রমে মাসিক ১০০০ টাকা (সাধারণ শ্রেণি) ও ১২০০ টাকা (তফশিলি জাতি ও উপজাতি) করে দেয় সরকার।
রাজ্যের মহিলাদের বড় সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Government Scheme)!
পশ্চিমবঙ্গের মতো এদেশের আরও নানান রাজ্যে মহিলাদের জন্য বিভিন্ন রকমের প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এবার যেমন মহিলাদের ১০,০০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মুখ্যমন্ত্রী মহিলা উদ্যমিতা অভিযানের অধীন এই টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘোষণা করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
জানা যাচ্ছে, রাজ্যের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে এই উদ্যোগ নিয়েছে অসম সরকার। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আবহে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এবার বছর ঘোরার আগেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হল (Government Scheme)। আগামী ১ এপ্রিল থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রত্যেকটি মহিলাকে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া শুরু করবে অসম সরকার।
আরও পড়ুনঃ ‘হামলার মুখে পড়েছিলাম, ওইদিনই আমার মৃত্যু হতো’! কোন ঘটনা শেয়ার করলেন শুভেন্দু?
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রথম বছর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অংশ এমন মহিলাদের ১০,০০০ টাকা করে দেব’। দ্বিতীয় বছরে সরকারের তরফ থেকে ২৫,০০০ টাকা করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২,৫০০ টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ ও বাকি সমপরিমাণ টাকা রাজ্যের (Government of Assam) কোষাগার থেকে দেওয়া হবে বলে খবর। তৃতীয় বছরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য মহিলাদের ৫০,০০০ টাকা করে দেবে সরকার।
তবে অসমের প্রত্যেক মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। এর জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তবে কোনও মহিলার যদি আগে খারাপ ব্যাঙ্ক ঋণ থাকে, তাহলে তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। তিনটি বা তার কম সন্তান থাকা মহিলারা রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। এছাড়া এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার অন্যতম একটি শর্ত হল, আবেদনকারী মহিলার কন্যা সন্তান থাকলে তাঁর বিদ্যালয়ে নাম নথিভুক্ত করানো হতে হবে।
তবে তফশিলি জাতি ও উপজাতি, চা জনগোষ্ঠী ও মোরান এবং মোটাক সম্প্রদায়ের ৪ সন্তান থাকা মহিলারাও রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের (Government Scheme) সুবিধা পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ’৩১ মার্চের মধ্যে আমরা সুবিধাভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলব। ২৯ লক্ষ মহিলার মধ্যে চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের পর আমরা ২৬-২৭ লক্ষ সুবিধাভোগী আশা করছি’।