বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচারের ঘটনার জেরে এপার বাংলা তথা ভারতে (India) প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। প্রথমে কলকাতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার বিরোধিতা করা হয় চিকিৎসকের তরফেই। আর এবার ত্রিপুরায় কোনও হোটেলে বাংলাদেশিদের জায়গা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হল হোটেল মালিক সংগঠনের তরফে।
ভারতের (India) ত্রিপুরায় হোটেল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশিদের
ত্রিপুরার হোটেল মালিকদের সংগঠন, অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশে যতদিন না সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে, ততদিন বাংলাদেশিদের ত্রিপুরার কোনও কোনো হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না।
বহু বাংলাদেশি আসে ত্রিপুরায়: উল্লেখ্য, বাংলাদেশের উত্তর এবং পূর্ব প্রান্তের একাধিক জেলা থেকে ভারতে (India) আসার সময় ত্রিপুরা হয়ে আসেন বাংলাদেশিরা। ত্রিপুরা থেকে কলকাতা, দিল্লির মতো শহরগুলির বিমান ভাড়া তুলনামূলক কম। বিমান ধরার জন্য ত্রিপুরার আগরতলার হোটেলে ওঠেন বাংলাদেশিরা। এমতাবস্থায় যদি হোটেল পরিষেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে তাঁদের বড়সড় সমস্যায় পড়তে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন : শরীরে ক্যানসারের থাবা! মারণ রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা কাউকে জানতেই দেননি শর্মিলা!
কী সিদ্ধান্ত হোটেল মালিকদের বৈঠকে: এদিন আগরতলার সোনার তরী হোটেলে বসে হোটেল মালিক সংগঠনের বৈঠক। সেখানে বলা হয়, ভারত (India) ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, বাংলাদেশিদের সমাদর করা হয় এদেশে। কিন্তু বাংলাদেশে কিছু মানুষ যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন চালাচ্ছে, তাতে আপাতত বাংলাদেশের নাগরিকদের এখানে কোনো হোটেল পরিষেবা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এও শোনা যাচ্ছে, গত ৫ ই অগাস্ট থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া এক প্রকার বন্ধই রাখা হয়েছে ভারতের (India) তরফে। তাই বাংলাদেশিরা বেশি না আসায় এই সিদ্ধান্তে হোটেল ব্যবসাতেও বড় ধরণের প্রভাব পড়বে না বলেই আশা করা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন : সারা মুখে সবুজ রঙ, ন্যাড়া মাথা! ‘গঞ্জি চুড়েল’ রূপে অভিনেত্রীকে চিনতে পারলেন?
অন্যদিকে সোমবার চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ত্রিপুরার আগরতলায় প্রতিবাদ মিছিল বেরোয়। ক্ষুব্ধ জনতা ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের চত্বরে। নিরাপত্তা লঙ্ঘনের এই ঘটনায় বিবৃতি প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছে নয়াদিল্লি।