বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত দিন এগোচ্ছে ততই একের পর এক সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। ইতিমধ্যেই ওই দেশ চরম আর্থিক এবং খাদ্য সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। ঠিক সেই আবহেই এবার পাকিস্তানে ফের পোলিওর (Polio) প্রথম কেস ধরা পড়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু জেলায় তিন বছরের এক শিশু এই মারাত্মক রোগের শিকার হয়েছে।
গত শনিবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানের সংবাদপত্র “ডন” মারফত জানা গিয়েছে, এই খবর এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন ফ্রেঞ্চ এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট (FAD) এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন (BMGF)-এর একটি প্রতিনিধি দল এই রোগ নির্মূল করার প্রচেষ্টা বিশ্লেষণ করতে পাকিস্তানে এসেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য: এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক গত শুক্রবার জানিয়েছে যে, FAD এবং BMGF-এর প্রতিনিধিরা পোলিও নির্মূলের উপর দৃষ্টিনিক্ষেপ করে সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যে সহযোগিতা করার উপায় প্রসঙ্গে আলোচনা করতে ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল কাদির প্যাটেলের সাথে দেখা করেছেন। পাশাপাশি, পোলিও আক্রান্তের প্রসঙ্গে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের (NEOC) প্রধান ডাঃ শাহজাদ বেগ বলেছেন, আক্রান্ত শিশুটিকে টিকা দেওয়া হয়েছিল নাকি তার বাবা-মা টিকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন তা নিশ্চিত করার জন্য তদন্ত চলছে।
২০২৩ সালের প্রথম আক্রান্ত: তবে, ডাঃ বেগ “ডন”-কে জানিয়েছেন, এটা স্পষ্ট যে ওই শিশুটি পুরোপুরি সুরক্ষিত ছিল না এবং সেই কারণেই ভাইরাসটি তাকে আক্রমণ করেছিল। তিনি জানান, চলতি বছরে দেশে এটিই প্রথম পোলিও আক্রান্তের ঘটনা। পাশাপাশি, NEOC প্রধান আরও জানিয়েছেন, “দক্ষিণ খাইবার পাখতুনখোয়ায় সাতটি জেলা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ডেরা ইসমাইল খান, লাক্কি মারওয়াত, ট্যাঙ্ক, বান্নু, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তান। টিকাকরণ কর্মসূচি অভিযানে ওইসব এলাকায় কঠোর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।”
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই এলাকাটি ২০২২ সালে পোলিওর কেন্দ্র ছিল। গত বছর, দক্ষিণ খাইবার পাখতুনখোয়ার জেলাগুলিতে ২০ টি কেস নথিভুক্ত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১৭ টি ঘটনা ছিল উত্তর ওয়াজিরিস্তানের। এদিকে , বাকি দু’জন লাকি মারওয়াত এবং একজন দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান থেকে আক্রান্ত হয়েছিল।