বাংলাহান্ট ডেস্ক : অপরিশোধিত তেল বিক্রি করে দশকের পর দশক ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে আরবের একাধিক দেশ। তবে এবার ভারতের (India) এই জেলা টেক্কা দিতে চলেছে আরবকেও। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ভারতের (India) এই রাজ্যে সন্ধান মিলেছে কাঁচা তেলের খনির। ইতিমধ্যেই অপরিশোধিত তেলের সন্ধানে খনন কার্য শুরু করেছে ওএনজিসি।
আরবকে টেক্কা দেবে ভারত (India)
বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেলের হদিস মিলেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বলিয়া জেলার সাগরপালি গ্রামে। খননকার্য চালানোর জন্য গ্রামের বেশকিছু কৃষকের জমি অধিগ্রহণ করতে পারে সরকার। যদি এই এলাকায় অপরিশোধিত তেল মেলে তাহলে আখেরে লাভবান হতে চলেছেন গ্রামের কৃষকরাই। সূত্রের খবর, বলিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তু পাণ্ডের পারিবারিক জমিতে মিলেছে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেলের সন্ধান।
আরও পড়ুন : বিষ্ণুপুর অন্ত প্রাণ! সকলের জন্য আবার জোড়া সুখবর নিয়ে হাজির সৌমিত্র খাঁ
গঙ্গা বেসিনে ৩,০০০ মিটার গভীরে ওএনজিসি অপরিশোধিত তেলের সন্ধান পায়। এরপর চলে তিন মাসের সমীক্ষা। খননকার্য চালানোর জন্য ওএনজিসির তরফে তিন বছরের জন্য সেনানি পরিবারের সাড়ে ছয় একর জমি লিজে নেওয়া হয়েছে। চুক্তি বাবদ ওএনজিসি প্রতি বছর সেনানি পরিবারকে প্রদান করবে ১০ লক্ষ টাকা। অনুসন্ধানকারীরা জানিয়েছেন, মাটির প্রায় তিন হাজার মিটার গভীরতায় মিলেছে তেলের সন্ধান। ওএনজিসির (ONGC) কর্মকর্তাদের দাবি, তেলের ভান্ডার মিললেও তা রয়েছে মাটির অনেক গভীরে।
আরও পড়ুন : দমবন্ধকর পরিস্থিতি বাংলাদেশে! ইউনূসের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে সামরিক বাহিনী?
অপরিশোধিত তেলের (Crude Oil) সন্ধানের জন্য ৩,০০১ মিটার গভীর বোরিং করা হবে। এই খননকার্য চালাতে প্রতিদিন প্রয়োজন হচ্ছে ২৫,০০০ লিটার জল। ওএনজিসির কর্মকর্তাদের মতে, খননকার্য অত্যন্ত দ্রুততার সাথে চালানো হচ্ছে। আমরা আশা করছি এপ্রিল মাসের মধ্যে তেলের পৃষ্ঠ পর্যন্ত বোরিংয়ের কাজ হয়ে যাবে। এখান থেকে যদি আমরা ইতিবাচক রিপোর্ট পাই তাহলে গঙ্গা বেসিনের অন্যান্য চিহ্নিত স্থানে শুরু হবে খনন কাজ।
জানা যাচ্ছে, বলিয়ার সাগর পালি গ্রাম থেকে প্রয়াগরাজের ফাফামাউ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কিমি অঞ্চল জুড়ে রয়েছে কাঁচা তেল এবং গ্যাসের ভাণ্ডার। এই ধরনের ভান্ডারগুলি থেকে যদি অপরিশোধিত তেল মেলে, তাহলে দেশীয় বাজারে জ্বালানির ক্ষেত্রে কমবে আমদানি নির্ভরতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিশাল ভান্ডারগুলিতে যে পরিমাণ অপরিশোধিত তেল মজুদ রয়েছে তা দিয়ে আগামী কয়েক দশক পর্যন্ত জ্বালানির চাহিদা মেটানো যাবে।