বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সামরিক ক্ষেত্রে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে ভারত (India)। পাশাপাশি, এই ক্ষেত্রে অগ্রগতির লক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ঠিক এই আবহেই একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, আরব সাগরের বুকে ভারত কোনো “সিক্রেট মিশন”-এর প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। মূলত, সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনই সম্ভাবনার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করেছে।
তারা দাবি করেছে যে, কোচি শিপইয়ার্ডের কাছেই তৈরি হচ্ছে পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিনের ঘাঁটি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বর্তমান সময়ে ভারতের কাছে একটিই কমিশন নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস আরিহন্ত রয়েছে। এমতাবস্থায়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই সেটি নৌসেনার হাতে আসতে পারে। এদিকে, বিশাখাপত্তনমে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে আরেকটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন তৈরির কাজও চলছে। এর পাশাপাশি আইএনএস চক্র আসতে চলেছে আগামী বছরের শেষের দিকে।
মূলত, এই অ্যাটাক সাবমেরিনটি ১০ বছরের জন্য রাশিয়া থেকে নেওয়ার ক্ষেত্রে চুক্তি করেছে ভারত। আর এইসব সাবমেরিনকে সামনে রেখেই কি কোচিতে নতুন ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা চলছে? যদিও, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এদিকে, নৌবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত ইতিমধ্যেই মাল্টিপল ব্যালেস্টিক মিসাইল কেপেবল নিউক্লিয়ার সাবমেরিন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। অর্থাৎ সোজা কথায়, এর মাধ্যমে পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন থেকে একসঙ্গে একাধিক মিসাইল ছোঁড়া যাবে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের GDP-র চেয়ে ২.৫ গুণ বড় RBI-এর ব্যালেন্স শিট, ১ বছরে বৃদ্ধি ১১%
এখনও পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বে শুধুমাত্র আমেরিকার হাতেই এই বিশেষ প্রযুক্তির সামনের দিন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের এই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেশের প্রতিরক্ষা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিরাট ছাপ ফেলবে। এদিকে, সম্প্রতি লোকসভা ভোটের আবহেই রাফালের প্রস্তুতকারী সংস্থা দাসো ও ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল দিল্লি আসছে। জানা গিয়েছে, ভারতে ২৬ টি মেরিন রাফাল রফতানি নিয়ে আলোচনার জন্যই ওই দল আসছে।
আরও পড়ুন: ছিলেন ওয়েটার, আজ ধনকুবের! আম্বানি-আদানির চিন্তা বাড়িয়ে ধনীদের তালিকায় চমক দেখালেন ব্যক্তি
জানিয়ে রাখি যে, নৌসেনার ব্যবহারের জন্য তৈরি একটি বিশেষ হল মেরিন রাফাল। ওই বিমানের আলোচনায় দু-দেশের সম্মতি মিললেই চলতি বছরেই এই সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। মূলত আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত-এই দুই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের জন্য রাফাল-এম কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সরকার। এমতাবস্থায়, রাফাল-এম হাতে এলে ভারতীয় নৌসেনা চিনের যে কোনও মেরিন এয়ারক্রাফটের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে। এর পাশাপাশি, নৌবাহিনীকে অন্যান্য বিভিন্ন দিক থেকেও শক্তিশালী করার কাজ বর্তমানে জোরকদমে চলছে।