বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার বেতন বৃদ্ধি ঘটল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of North Bengal) অস্থায়ী কর্মীদের। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিশেষ কমিটির তরফে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন (Salary Hike) ১২ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার দেবাশিস তত্ত্বের দপ্তরে একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়। আর সেখানেই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত।
পাশাপাশি, অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ন্যূনতম বেতন এবার হতে চলেছে ৫৭,৭০০ টাকা। যদিও, যেহেতু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই সেক্ষেত্রে এই বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি লাগু করার ক্ষেত্রে কোনো আইনি সমস্যা থাকবে কিনা সেই বিষয়ে আইনজীবীদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রারকে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, শনি এবং রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকার কারণে ইতিমধ্যেই জুলাই মাসের বেতনের নথিপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই, আগামী মাসের শুরুতে পূর্ব নির্ধারিত বেতন হবে। তবে, বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে গেলে গত কয়েক মাসের বর্ধিত বেতনের টাকা কর্মীরা পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: তাকিয়ে থাকল গোটা বিশ্ব! মাত্র ২৪ ঘন্টায় নির্মাণ হল আস্ত রেল সেতু, নয়া নজির ভারতের
আন্দোলন প্রত্যাহার করা হল: এদিকে, “সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি”-র তরফে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে যে লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা এই ঘোষণার পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে “সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতি”-র যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জিত রায় জানিয়েছেন, “অস্থায়ী কর্মীদের ১৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি আমরা জানিয়েছিলাম। যদিও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ১২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা খুশি। তাই, আমাদের এই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হল।”
আরও পড়ুন: ভাবতেও পারবে না কেউ! বন্ধু ইজরায়েলের জন্য কী কী অস্ত্র পাঠাল ভারত? সামনে এল গোয়েন্দা রিপোর্ট
এদিকে, বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন যে, ‘‘আপাতত অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ১২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এর ফলে অস্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ন্যূনতম ৫৭,৭০০ টাকা পাবেন। কর্ম সমিতির সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা বিশেষ কমিটির সাথে বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও, উপাচার্য না থাকায় তা লাগু করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকবে কি না, সেই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়ার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’’