বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের ভারতীয় বাজারে বড় ধাক্কা খেল চিনা কোম্পানি। ইতিমধ্যেই গত শুক্রবার সরকার জানিয়েছে যে, ভারতে খেলনা বিক্রি করছে এমন প্রায় ১৬০ টি চিনা কোম্পানিকে তারা এখনও বাধ্যতামূলক মানের শংসাপত্র জারি করেনি। মূলত, করোনা মহামারীর কারণে এই বিলম্ব হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ভারত ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে দেশে খেলনা বিক্রির জন্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (Bureau of Indian Standards, BIS) থেকে “ISI” মানের শংসাপত্র প্রাপ্ত বাধ্যতামূলক করেছে। এই প্রসঙ্গে BIS-এর মহানির্দেশক প্রমোদ কুমার তিওয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, “গত দু’বছরে চিনের প্রায় ১৬০ টি খেলনা কোম্পানি BIS মানের সার্টিফিকেশনের জন্য আবেদন করেছে। মূলত, করোনা মহামারীর আবহে আমরা এখনও তাদের শংসাপত্র জারি করিনি।”
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সাধারণত কারখানা পরিদর্শনের পর BIS সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, মহামারীর জন্য থাকা বিধিনিষেধ এবং স্বাস্থ্যসংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে BIS-এর কর্মকর্তারা চিনে সফর করতে পারেননি। পাশাপাশি, তিওয়ারি চিনা খেলনা কোম্পানিগুলি সম্পর্কে বলেন, “তারা আমাদের পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানায়নি এবং মহামারীর কারণে আমরাও চিনে যেতে পারিনি।” তাঁর মতে, গত দুই বছরে BIS মোট ২৯ টি বিদেশি খেলনা প্রস্ততকারী সংস্থাকে এই সার্টিফিকেট দিয়েছে। যার মধ্যে ভিয়েতনামের ১৪ টি কোম্পানি রয়েছে।
গ্রাহকরা জানাতে পারেন অভিযোগ: এই প্রসঙ্গে প্রমোদ কুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন, গ্রাহকরা যদি মনে করেন যে মেড ইন চায়না খেলনা দেশে বেআইনিভাবে বিক্রি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ করতে পারেন। উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ৩ বছরে ভারতে খেলনা আমদানির পরিমান প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে।
পাশাপাশি, রপ্তানি বেড়েছে ৬১ শতাংশ। গত বছর বাণিজ্য মন্ত্রক এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সবসময় দেশে খেলনা তৈরির প্রচারে জোর দিয়ে আসছেন। এই মুহূর্তে খেলনার বাজারে চিনের প্রায় একচেটিয়া আধিপত্য দেখা গেলেও এখন ভারতের কাছ থেকে বড়সড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তারা।
কি অভিমত নির্মাতাদের: উচ্চমানের প্লাস্টিকের খেলনা প্রস্তুতকারী সংস্থা ইউনাইটেড এজেন্সি ডিস্ট্রিবিউটর এলএলপির তরফে অনুভব জৈন জানিয়েছেন যে, চিনা খেলনা আমদানি নিষিদ্ধ করার ঘটনা দেশীয় খেলনা নির্মাতাদের উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি, এর ফলে স্থানীয় খেলনা নির্মাতাদের মধ্যেও প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তাঁর মতে, খেলনা শিল্প এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছ থেকে অনেক উৎসাহ পেয়েছে।