বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার রাজ্যে মিলল বিরাট চাকরির সুযোগ! ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিপুল পরিমাণে নিয়োগের পরিকল্পনা গৃহীত হল। মূলত, স্বাস্থ্য দফতরে এবং পরিবহণ দফতরে চুক্তির ভিত্তিতে এবার বিপুল নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এমনই ঘোষণা করলেন দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, চুক্তির ভিত্তিতে আপাতত স্বাস্থ্য দফতরে ১১, ১৫১ জন কর্মী নিয়োগ করা হবে। শহর ও গ্রামে সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যেই এই বিপুল নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের বিভিন্ন প্রকল্প ভিত্তিক কাজে লাগানো হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পরই শিল্প এবং কর্মসংস্থানে জোর দিয়েছিলেন। পাশাপাশি রাজ্যের যুবসমাজের কর্মসংস্থানও করতে চাইছেন তিনি। সেই উদ্দেশ্যপূরণেই এবার নেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত।
শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্র থেকে খাদ্য দফতরে বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকেও চাকরি দেওয়ার কথা জানালেন ফিরহাদ হাকিম এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে, শুধু স্বাস্থ্য দফতরই নয়, বরং পরিবহন দফতরেও চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের প্রস্তাবে শিলমোহর দিয়েছে ক্যাবিনেট।
সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গ্রাম ও শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে চাইছে রাজ্য। তাই দুই ক্ষেত্রেই মোট ১১,৫২১ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করবে রাজ্য। মূলত, আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে হবে কর্মী নিয়োগ। পাশাপাশি, খাদ্য দফতরে ৩৪২ জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করবে নবান্ন। এই নিয়োগও সম্পন্ন হবে প্রকল্পকে লক্ষ্য রেখেই। শুধু তাই নয়, মগরাহাটের নিহত দু’ জনের পরিবারের সদস্যের পাশাপাশি গত বছর হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে বজ্রপাতে নিহত ২৬ জনের পরিবারের সদস্যকেও সরকারি চাকরি দেবে রাজ্য।
এছাড়াও, সিলিকন ভ্যালির জমি বন্টন নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ভ্যালিতে এতদিন ইনফরমেশন টেকনোলজি সংস্থাকে জমি দেওয়া হত। তবে, এবার থেকে সেখানে চিপ এবং সেমি কনডাক্টর প্রস্তুতকারক সংস্থাকেও জমি দেওয়া হবে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, এবার রাজ্যের ট্রাক টার্মিনালগুলি অধিগ্রহণ করবে সরকার। একাধিকবার বিভিন্ন বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায় টার্মিনালগুলি এবার অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সেখানকার কর্মীদেরও চুক্তিভিত্তিক চাকরি দেবে রাজ্য। যার ফলে, রাজ্য সরকার চুক্তির ভিত্তিতে তাঁদের বেতন দেবে।
তবে এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি পণ্য পরিবাহী আন্তর্জাতিক লরিগুলির কর কাঠামোর ব্যবস্থাও সরলীকরণ করা হল। এতদিন পৃথকভাবে কর দেওয়া হলেও এবার ন্যূনতম একটা কর দিয়ে যেতে পারবে লরিগুলি। কোন লরি আগে যাবে তা নির্ভর করবে সেগুলিতে থাকা সামগ্রীর ওপরে। সেক্ষেত্রে, পচনশীল সামগ্রীর ট্রাকগুলিকে আগে ছাড়া হবে এবং তারপরে ছাড়া হবে বাকি ট্রাকগুলিকে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা