বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার অন্য পথ অবলম্বন করল বাংলা (West bengal)। লকডাউনে বিশেষ সুফল না মেলায় এবার সুইডেন আর তাইওয়ানের মডেল অনুসরণ করতে চলেছে বাংলা, এমনটা জানালেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার।
চতুর্থ দফা লকডাউনের পরবর্তী অবস্থা
লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ের শেষ দিনে এসেও কমছে না করোনা সংক্রমণের হার। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউনে, নিয়ম কানুন শিথিল করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু অঞ্চলে। মানুষজন আর ঘরে বসতে থাকতে নারাজ। কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। এমনকি বেশ কিছু সেক্টরে অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে শুরু হয়ে গেছে কাজও।
সুইডেন আর তাইওয়ানের মডেল অনুসরণ বাংলার
তবে এবার বাংলায় করোনা সংক্রমণ রুখতে সুইডেন আর তাইওয়ানের মডেল ফলো করতে চলেছে বাংলা। যখন সমগ্র বিশ্বে লকডাউনের বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তখন সুইডেন আর তাইওয়ানে কোনোরকম লকডাউন পালন করা হয়নি। সেখানে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি এবং ব়্যাপিড টেস্ট এই দুটি বিষয়ের উপর জোর দিয়ে আজ তারা করোনাকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। এবার লকডাউন তুলে দিয়ে সেই পথেই হাঁটছে বাংলা।
করা হচ্ছে না র্যাপিড টেস্ট
র্যাপিড টেস্টের দরুণ নমুনা সংগ্রহ হলেও, তা ঠিক মতো টেস্ট করা হচ্ছে না। যার ফলে বাংলায় ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জানালেন চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার। তাই এবার র্যাপিড টেস্টের মাধ্যমেই করোনা আক্রান্তদের দ্রুত খুঁজে বের করে, লকডাউনের বিধি নিষেধ শিথিল করে সুইডেন আর তাইওয়ানের পথে এগোচ্ছে বাংলা।
লকডাউনে পাচ্ছে ছাড়
১ লা জুন থেকে রাজ্যে খুলে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান। মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, গুরুদ্বার খুলে দেওয়া হবে সবকিছুই। এমনকি ৮ ই জুন থেকে খুলে যাচ্ছে সমস্ত সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। ৪০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালু হবে ফেরী ঘাট পরিষেবাও। এমনকি দোকান বাজার, সেলুন স্পা, বিউটি পার্লার খোলারও অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।