বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার প্রবল বায়ু দূষণের (Air Pollution) সম্মুখীন হল থাইল্যান্ড (Thailand)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই দূষণের কারণে ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। অবস্থা এতটাই বেগতিক যে, প্রায় ২,০০,০০০ মানুষ বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার কারণে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, রাজধানী ব্যাংককের (Bangkok) অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়।
শহরের আধিকারিকরা স্থানীয় মানুষদের বাড়িতে থাকার আর্জিও জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং যানবাহন থেকে বের হওয়া ধোঁয়াকে বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমতাবস্থায়, AFP-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বর্তমানে রাজধানী ব্যাংককে বায়ুদূষণ অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে, ইতিমধ্যেই সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ব্যাংকক প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল এবং এটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল হিসেবেও বিবেচিত হয়। তবে, এবার এই এলাকাই বিষাক্ত বাতাসে ঢেকে দিয়েছে। মন্ত্রকের মতে জানানো হয়েছে বায়ু দূষণের ফলে বছরের শুরু থেকে ওই রাজ্যে ১.৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এমনকি, চলতি সপ্তাহেই প্রায় ২ লক্ষ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমতাবস্থায়, মন্ত্রকের একজন চিকিৎসক ক্রিয়াংক্রাই নামথাইসোং গত বুধবার জানিয়েছেন, প্রত্যেকেই বাইরে বের হলে তাঁদের উচ্চ মানের N95 দূষণরোধী মাস্ক পরা উচিত। পাশাপাশি, শহরের মানুষদের “Work From Home” অর্থাৎ বাড়িতে থেকেই কাজ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, শহর পরিচালিত নার্সারিগুলি ছোট বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য এয়ার পিউরিফায়ারের পাশাপাশি “নো ডাস্ট রুম”-এর স্থাপন করেছে। এদিকে, জনস্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত বুধবার ব্যাংককের ৫০ টি জেলায় সবচেয়ে বিপজ্জনক PM2.5 মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মূলত, এই মাত্রা WHO-র নির্দেশিকা থেকে অনেকটাই উপরে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বাতাসে উপস্থিত দূষক কণা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করতে পারে। এমতাবস্থায়, সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মতে জানানো হয়েছে, গত তিন দিন ধরে ব্যাংককের বেশিরভাগ অংশে PM2.5 মাত্রা নিরাপদ স্তরের উপরে রয়েছে। এমনকি, উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিয়াং মাইতে পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখানকার বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে কৃষিক্ষেত্র থাকায় কৃষকরা বছরভর খড় পুড়িয়ে দেন। যার কারণে ধোঁয়াশা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।