বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-টুইটারের যুগে এখন সমগ্র বিশ্বই কার্যত পকেটে চলে এসেছে সকলের। পাশাপাশি, প্রতিনিয়ত ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার আপডেটও দ্রুত পেয়ে যান ব্যবহারকারীরা। এছাড়াও, বর্তমান সময়ে নেটমাধ্যমের একাধিক সুফলও ক্রমশ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তবে, সোশ্যাল মিডিয়া বললেই সবার প্রথমে যার নাম মাথায় আসে তিনি হলেন মার্ক জুকারবার্গ। ফেসবুক আবিষ্কারের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বেই কার্যত বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেন এই ব্যক্তি। তবে, এবার জুকারবার্গের সাথে হয়ত কড়া টক্করে নামতে চলেছেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ইলন মাস্ক।
সম্প্রতি মাস্কের একটি টুইট সামনে এসেছে। আর তারপরেই রীতিমত সাড়া পড়ে গিয়েছে সবমহলে। শুধু তাই নয়, জুকারবার্গকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাস্কের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসার বিষয়টি সম্পর্কে তৈরি হয়েছে জল্পনাও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন দু’য়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়া ও তার নীতির সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল এই মার্কিন ধনকুবেরকে। কিন্তু, এরপরেই রবিবার একটি টুইটের উত্তর দিয়ে মাস্ক জানিয়ে দেন যে, নতুন একটি সোশ্যাল মিডিয়া লঞ্চ করার চিন্তাভাবনা ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন তিনি।
এদিকে, শুক্রবারই একটি টুইটার পোলে অংশ নিয়ে মাস্ক, টুইটার আদৌ বাকস্বাধীনতার নীতি মেনে চলে কিনা, এই বিষয়ে “না” হিসেবে ভোট দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, সেটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ”এই ভোটের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ। তাই সতর্ক হয়ে ভোট দিন।”
এছাড়াও, টুইটারে প্রণয় পাথোল নামে এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মাস্ককে জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি কি নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আনতে চান যেখানে বাকস্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে? এর উত্তরে মাস্ক জানিয়ে দেন যে, “এই বিষয়টি আমি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি।”
এদিকে, রবিবার ইলন মাস্কের এমন ঘোষণা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার একাধিক প্ল্যাটফর্মে বারবার বাক স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ উঠেছে। এমতাবস্থায়, মাস্কের নিয়ে আসা প্ল্যাটফর্মটিতে হয়ত এই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। এছাড়াও, ইলন মাস্ক যদি সত্যিই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসেন, তাহলে তা জুকারবার্গকে কতটা টক্কর দিতে পারে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে একাধিক মহল।