বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে এবার নতুন করে আর রেপো রেট (Repo Rate) বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়নি RBI (Reserve Bank Of India)। তাই সেটি পূর্বের অবস্থাতেই অর্থাৎ ৬.৫০ শতাংশেই বর্তমানে বহাল রয়েছে। তবে, এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে ২০২২ সালের মে মাস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে মোট ৬ বার রেপো রেট বাড়ানো হয়। এমতাবস্থায়, ব্যাঙ্কগুলি FD-র ক্ষেত্রে এবার দুর্দান্ত সুদের হার প্রদান করছে। বর্তমান প্ৰতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
১. HDFC ব্যাঙ্ক: ইতিমধ্যেই HDFC ব্যাঙ্ক প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৫ বছর ১ দিন থেকে ১০ বছরের মধ্যে ম্যাচিওর হওয়া FD-র ক্ষেত্রে ৭.৭৫ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। পাশাপাশি, অন্যান্যদের জন্য সংশ্লিষ্ট সময়ের ক্ষেত্রে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ শতাংশ।
২. ইউনিটি স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক: এই ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকরা ১,০০১ দিনের মধ্যে ম্যাচিওর হওয়া FD-র ক্ষেত্রে পেতে পারেন ৯.৫০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ। পাশাপাশি, ইউনিটি স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্ক অন্যান্য গ্রাহকদের জন্য, ওই একই মেয়াদের ওপরে সুদের হার নির্ধারণ করেছে ৯ শতাংশ।
৩. Equitas Small Finance Bank: এই ব্যাঙ্কে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে ৮৮৮ দিনের মধ্যে ম্যাচিওর হওয়া FD-র জন্য ৯ শতাংশ সুদ প্রদান করা হচ্ছে। অপরদিকে, সংশ্লিষ্ট মেয়াদের ভিত্তিতে অন্য গ্রাহকেরা পাচ্ছেন ৮.৫ শতাংশ সুদ।
৪. Fincare Small Finance Bank: প্রবীণ নাগরিকরা এই ব্যাঙ্কে ১,০০০ দিনের মধ্যে ম্যাচিওর হওয়া FD-র ক্ষেত্রে সুদ পেতে পারেন ৯.০১ শতাংশ। পাশাপাশি, Fincare Small Finance Bank তার অন্যান্য গ্রাহকদের জন্য সুদের হার ৮.৪১ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।
৫. স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, স্টেট ব্যাঙ্ক তার জনপ্রিয় অমৃত কলশ স্পেশাল এফডি ( FD) স্কিমের বৈধতা ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই স্কিমের মাধ্যমে ৪০০ দিনের FD-র ক্ষেত্রে ৭.১০ শতাংশ সুদ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই সুদের হার হল ৭.৬০ শতাংশ।
৬. Utkarsh Small Finance Bank: এই ব্যাঙ্কটি প্রবীণ নাগরিকদের ৭০০ দিনের মধ্যে থাকা FD-র ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ সুদ প্রদান করছে। পাশাপাশি অন্যান্য সাধারণ নাগরিকদের জন্য সংশ্লিষ্ট সময়ে সুদের হার হল ৮.২৫ শতাংশ।
(সতর্কীকরণ: এই প্ৰতিবেদনে শুধুই তথ্য পেশ করা হয়েছে। তাই, বিনিয়োগের আগে অবশ্যই ব্যাঙ্কে খোঁজ নিন বা কোনো আর্থিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)