পাত্তা পাবে না কেউই! এবার এই সেক্টরের “রাজা” হবেন আদানি, প্রস্তুত ৮০,০০০ কোটির চেক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার মেগা পরিকল্পনা তৈরি করেছেন ভারত (India) তথা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আদানি এন্টারপ্রাইজ এই অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২৪-২৫-এ বিভিন্ন ব্যবসায় ৮০,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য ইতিমধ্যেই স্থির করা মোট ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচারের একটি বড় অংশ নতুন জ্বালানি সেক্টর এবং এভিয়েশন সেক্টরের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।

এই প্রসঙ্গে ডেপুটি চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার সৌরভ শাহ বলেছেন যে, সংস্থাটি FY2025-এ প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকার ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচারের দিকে নজর দিচ্ছে। যার একটি বড় অংশ Adani New Industries Limited (ANIL) এবং বিমানবন্দরের ব্যবসায় যাবে। যার মূলধন ব্যয় প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা হবে।

This time Gautam Adani will be the "king" of this sector.

পুরো পরিকল্পনা: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, Adani New Industries Limited অর্থাৎ ANIL সৌর মডিউল তৈরি করে। যেগুলি সূর্যের আলোকে বিদ্যুৎ এবং সবুজ হাইড্রোজেনে রূপান্তর করে। সৌরভ জানান যে ওই বিপুল অর্থের তৃতীয় অংশটি রাস্তার জন্য বরাদ্দ হবে। যেখানে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ১২,০০০ কোটি টাকার ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার হবে এবং বাকি অর্থ অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হবে। তিনি আরও জানান যে, “যেহেতু আমরা আমাদের পিভিসি প্রকল্পও শুরু করছি, তাই পিভিসি ব্যবসায় প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা মূলধন ব্যয় হবে। বাকি প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা ডেটা সেন্টারে থাকবে।” শাহ বলেন, ANIL ১০ GW সৌর মডিউলের পাশাপাশি ৩ GW-এর বায়ু টারবাইন উৎপাদন করার কারখানাগুলিকে লক্ষ্য করছে।

আরও পড়ুন: এবার ভারতে সফরে আসছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট! তার আগেই সামনে এল মুইজ্জুর “বিষাক্ত পদক্ষেপ”

সংস্থাটি গ্রিন এনার্জিতেও মনোনিবেশ করেছে: তিনি বলেন, “FY 2026-এর জন্য অন্যান্য ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার হবে আমাদের সবুজ হাইড্রোজেন ব্যবসার প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য। যা আমাদের সবুজ হাইড্রোজেনের পাশাপাশি ডাউনস্ট্রিম প্রোজেক্টগুলির জন্য একটি কিকস্টার্ট হবে।

আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে সাইবার হামলা, “টার্গেট” ভারতও, ঘনিয়ে আসছে বড় বিপদ

জানিয়ে রাখি যে, আদানি গ্রুপ গুজরাটে তার কারখানায় সোলার সেল এবং মডিউল তৈরি করতে ব্যবহৃত ওয়েফার এবং ইনগটগুলির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে। এটি ২০২৭-২৮ সালে পলিসিলিকন তৈরি করে ভারতের প্রথম সমন্বিত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির অন্যতম প্লেয়ার হওয়ার লক্ষ্য রেখেছে। গ্রুপের লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ GW পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি তৈরি করা। যার দুই-তৃতীয়াংশ গুজরাটের খাভরা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পার্কে উৎপাদিত হচ্ছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর