বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত (India) ও আমেরিকা (America) এবার মহাকাশের ক্ষেত্রে তাদের অংশীদারিত্ব আরও প্রসারিত করতে প্রস্তুত। শুধু তাই নয়, মহাকাশ সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করতে ভারত ও আমেরিকার ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা আধিকারিকরা বৈঠক করেছেন। মূলত, ভারত ও আমেরিকার আধিকারিকরা মহাকাশ-সম্পর্কিত উদ্যোগে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করার বিষয়েও কথা বলেছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে।
ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক: জানিয়ে রাখি যে, দ্বিতীয় বার্ষিক “ইউএস-ইন্ডিয়া অ্যাডভান্সড ডোমেন ডিফেন্স ডায়ালগ” বৈঠকে, আধিকারিকরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিস্তৃত পরিসর নিয়ে আলোচনা করেছেন। মার্কিন দলটির নেতৃত্বে ছিলেন মহাকাশ নীতির ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব ভিপিন নারাং এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক যুগ্ম সচিব বিশ্বেশ নেগি।
এদিকে, প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র কমান্ডার জেসিকা অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন যে এই বছরের বৈঠকের ক্ষেত্রে, নারাং এবং নেগি মহাকাশ সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং মার্কিন উদ্যোগের সাথে সহযোগিতার জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করেছেন।
আরও পড়ুন: একলাফে দাম কমবে ৯০ লক্ষ টাকা! এবার ভারতের মাটিতে Range Rover তৈরি করবে টাটা মোটরস
মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি তথ্য দেওয়ার সময়ে ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি জানিয়েছিলেন যে, আমেরিকা এই বছরের শেষ নাগাদ একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠাবে। তিনি বলেছিলেন, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা NASA এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা অর্থাৎ ISRO-র মধ্যে নিসার প্রকল্পের অধীনে একটি যৌথ মিশনও এই বছরের শেষের দিকে চালু করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ফাইনাল! তার আগে “অস্বস্তিতে” KKR শিবির, কারণ জানালেন ভেঙ্কটেশ
গবেষণা ও প্রযুক্তির দিকে নজর দিতে হবে: এরিক গারসেটি আরও বলেছেন, ভারত ও আমেরিকাকে গবেষণা এবং উদীয়মান প্রযুক্তির ওপর ফোকাস করতে হবে। এভাবে উভয় দেশ একে অপরের শক্তির সদ্ব্যবহার করতে পারবে। তাঁর মতে, ভারত গত বছর মিশন চন্দ্রযান ৩-এ একই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে যেভাবে আমেরিকা ওই ধরণের চন্দ্র মিশনে ব্যয় করেছিল। গারসেটি আরও বলেন যে, আমেরিকার কিছু সক্ষমতা রয়েছে, যেগুলির এখনও ভারতে অভাব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, উভয় দেশকে তাদের সক্ষমতা জোরদার করতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।