বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ সব খনিজ পদার্থের প্রচুর ভান্ডার পাওয়া যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, আমাদের দেশও সেই তালিকায় রয়েছে। কিছুদিন আগেই ভারতের (India) জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় লিথিয়ামের (Lithium) বিশাল ভান্ডারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তবে, এবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) অনন্তপুর জেলায় বিরল খনিজ সম্পদের মজুত পাওয়া গেছে।
শুধু তাই নয়, সেগুলি সেলফোন, টিভি, কম্পিউটার থেকে শুরু করে অটোমোবাইল ক্ষেত্র পর্যন্ত দৈনন্দিন ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। মূলত, হায়দ্রাবাদের ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এই উপাদানগুলি আবিষ্কার করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এনজিআরআই-এর বিজ্ঞানীরা সাইনাইটের মতো অপ্রচলিত শিলাগুলির জন্য সার্ভে করছিলেন। তখনই তাঁরা ল্যান্থানাইড সিরিজের খনিজ পদার্থের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন।
চিহ্নিত উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যালানাইট, সিরিয়াট থোরাইট, কলম্বাইট, ট্যানটালাইট, অ্যাপাটাইট, জিরকন, মোনাজাইট, পাইরোক্লোর ইউক্সেনাইট এবং ফ্লোরাইট। এই প্রসঙ্গে ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী পিভি সুন্দর রাজু জানিয়েছেন অনন্তপুরে বিভিন্ন আকারের জিরকন দেখা গেছে।
তিনি জানান, মোনাজাইট দানাগুলিতে রেডিয়াল ফাটল সহ একাধিক রঙ দেখা গিয়েছে। যা নির্দেশ করে যে এতে তেজস্ক্রিয় উপাদান রয়েছে। এছাড়া অনন্তপুরে বিভিন্ন আকারের জিরকন দেখা গেছে বলে জানান পিভি সুন্দর রাজু। পাশাপাশি, এই REE সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য গভীর ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে গভীর গবেষণা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, উপাদানগুলি শক্তি, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র এবং স্থায়ী চুম্বক তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, এগুলি ইলেকট্রনিক্স উইন্ড টারবাইন, জেট প্লেন এবং আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এমতাবস্থায়, একজন বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, এই খনিজ পদার্থের সক্ষমতা বোঝার জন্য তিন শতাধিক নমুনার ওপর গবেষণা করা হয়েছে।