বাংলা হান্ট ডেস্ক: বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হাইজ্যাক করার পর, শেহবাজ সরকার এবং চিন সমগ্র বিশ্বে সমালোচিত হচ্ছে। পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে চিনের কয়েক বিলিয়ন ডলারের সিপিইসি প্রকল্প চলছে। শুধু তাই নয়, গদরে নৌ ও সেনা ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করছে চিন। জানিয়ে রাখি যে, চিন কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে গদরে বন্দর তৈরি করেছে এবং এয়ারপোর্ট বানিয়েছে। কিন্তু, সেগুলির কোনও সুফল পাচ্ছে না। এমতাবস্থায়, গদরকে দুবাইতে পরিণত করার পাকিস্তানের স্বপ্ন রীতিমতো ব্যর্থ হচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঠিক এই আবহেই ভারত (India) ইরানের চাবাহার বন্দরের জন্য একটি বড় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত ৪,০০০ কোটি টাকা খরচ করে আগামী কো বছরে ইরানের ওই বন্দরের ক্ষমতা ৫ গুণ বাড়াতে চায়।
ফের বাজিমাত ভারতের (India):
এদিকে, এর আগে আমেরিকা চাবাহার বন্দর নিয়ে ভারতকে (India) দেওয়া ছাড় শেষ করার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তাতে মোদী সরকারের কোনও প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে “সর্বোচ্চ চাপ” তৈরির নীতি নিয়ে কাজ করছে আমেরিকা। এই কারণে ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা চাবাহার বন্দরকে দেওয়া ছাড় শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। এদিকে, ভারত সরকার নতুন আধুনিক ক্রেন পেতে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে চায়। যাতে পুরো বন্দরের ব্যবস্থাকে আধুনিক করা যাবে। বর্তমানে চাবাহার বন্দরের ধারণক্ষমতা ১,০০,০০০ TEUs। যেটিকে ৫,০০,০০০ TEUs-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ভারত চাবাহার বন্দরের জন্য কোটি কোটি ডলার সহায়তা করেছে: জানিয়ে রাখি যে, চাবাহার বন্দরে দ্বিতীয় বার্থ নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই বন্দরের জন্য নতুন ক্রেন পাঠানো হয়েছে। চাবাহার বন্দর নিয়ে গত বছর ইরানের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছিল ভারত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারত (India) পণ্য আমদানিতে ১২ কোটি ডলার দিয়েছে। এছাড়াও, ভারত ২৫০ মিলিয়ন ডলারের লাইন অফ ক্রেডিটও দিয়েছে। যাতে চাবাহার বন্দরটি উন্নত করা যায়। ভারত এখনও পর্যন্ত ২৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বন্দর সরঞ্জাম ইরানে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি, চাবাহারে অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরবরাহের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: KKR নাকি RCB, IPL-এর প্রথম ম্যাচে কে করবে বাজিমাত? কেমন হবে প্লেয়িং ইলেভেন? জানুন বিস্তারিত
আসলে, ভারতের (India) জন্য চাবাহার বন্দর চিন ও পাকিস্তানের গদর বন্দরের একটি কড়া উত্তর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়া, চাবাহার বন্দরের সাহায্যে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে ভারত। এছাড়াও, চাবাহার বন্দর আন্তর্জাতিক নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর (INSTC) প্রকল্পের একটি অন্যতম রুট।
আরও পড়ুন: সাক্ষাৎ যম! মুহূর্তের মধ্যেই “শান্ত” করা যাবে চিন-পাকিস্তানকে, এবার ভারতীয় সেনার হাতে আসছে…..
এদিকে, এই করিডোরের মাধ্যমে ভারত (India) সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এমতাবস্থায়, ভারত সহজেই ইরান হয়ে আর্মেনিয়া, রাশিয়া এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে পণ্য পাঠাতে পারবে। শুধু তাই নয়, এই করিডোর দিয়ে ভারত ও উপসাগরীয় দেশগুলিতে সহজেই পণ্য পাঠাচ্ছে রাশিয়া। আর এইভাবেই রাশিয়া আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারছে।