ভারতের কামাল! এবার এই সেক্টরে “খেল খতম” হবে চিনের, বড় আপডেট সামনে আনলেন বৈষ্ণব

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে আমেরিকা সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ইতিমধ্যেই সমগ্র বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এর পাশাপাশি আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে, প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে ভারত (India) এমন একটি নতুন ঘোষণা করেছে যেটি চিনের অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম “X”-এ ঘোষণা করেছেন যে, আমেরিকাতে স্থিত একটি সংস্থা ভারতের সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে একটি বড় বিনিয়োগ করতে চলেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে প্রায় ১০,০০০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে ল্যাম রিসার্চ।

চিনকে টেক্কা দেবে ভারত (India):

ভারত সেমিকন্ডাক্টর হাব হয়ে উঠবে: এদিকে, এই মার্কিন কোম্পানির বিনিয়োগ ভারতের (India) সেমিকন্ডাক্টর মিশন অর্থাৎ ISM-এর সঙ্গে যুক্ত হবে। এটি একটি সরকারি উদ্যোগ। যেখানে সেমিকন্ডাক্টর এবং ডিসপ্লে তৈরির ক্ষেত্রে কাজ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের আওতায় সম্প্রতি ৫ টি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটের জন্য ভর্তুকি অনুমোদিত হয়েছে। সরকার সেমিকন্ডাক্টরের জন্য প্রায় ৭৬,০০০ কোটি টাকার বাজেট করেছে। এটি ভারতকে (India) সেমিকন্ডাক্টর হাব হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

কেন সেমিকন্ডাক্টর গুরুত্বপূর্ণ: জানিয়ে রাখি যে, সেমিকন্ডাক্টর কম্পিউটার থেকে শুরু করে স্মার্টফোন এবং টেলিভিশনের মতো অনেক ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। এটি যেকোনও ইলেকট্রনিক পণ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেমিকন্ডাক্টরকে সিলিকন চিপও বলা হয়। এটি স্মার্টফোন, রাউটার, মডেম এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো যোগাযোগ ডিভাইসেও ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি, গাড়িতেও এটি ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভুগবে ভারত? এই ৩ টি বড় খামতিই ঘুম ওড়াবে রোহিতদের

সেমিকন্ডাক্টরে কোন দেশ প্রাধান্য পায়: বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে চিন নেতৃত্ব দিচ্ছে। এদিকে, আমেরিকা চিনের ওপর অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যাতে চিনের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন বন্ধ করা যায়। বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে চিনের ২৪ শতাংশ অংশ রয়েছে যেখানে আমেরিকা ১১ শতাংশ নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। VLSI রিসার্চ প্রজেকশন SEMI অনুযায়ী, 2025 সালে, চিন ২৪ শতাংশের সাথে প্রথম, তাইওয়ান দ্বিতীয় (১৮ শতাংশ), জাপান তৃতীয় (১৫ শতাংশ) এবং আমেরিকা চতুর্থ (১১ শতাংশ) স্থানে থাকবে।

সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে কে ছিল: ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিকসের টুইটার হ্যান্ডেল অনুসারে, ১৯৯০ সালে, আমেরিকা সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের ক্ষেত্রে (৩৭ শতাংশ) প্রথম অবস্থানে ছিল। তারপরে ছিল জাপান (১৯ শতাংশ) চিন এবং তাইওয়ান সেই সময়ে সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করেনি। কিন্তু ২০২০ সালে, তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে ২২ শতাংশের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রথম অবস্থানে পৌঁছে যায়। এদিকে, জাপান (১৫ শতাংশ) দ্বিতীয় অবস্থানে, চিন (১৫ শতাংশ) তৃতীয় স্থানে এবং আমেরিকা (১২ শতাংশ) চতুর্থ স্থানে ছিল।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর