বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত (India) ইতিমধ্যেই তার নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামের (Nuclear Program) দ্বিতীয় স্টেজে পদার্পণ করেছে। পাশাপাশি, ভারত থোরিয়াম বেসড নিউক্লিয়ার রিয়েক্টর তৈরি করছে বলেও জানা গিয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বর্তমানে বিভিন্ন দেশ এই কাজের পরিকল্পনা করলেও ভারত ইতিমধ্যেই এটি সফলভাবে শুরু করেছে। এদিকে, চিন থেকে শুরু করে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং জাপানের মতো দেশগুলিও এই বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিশ্বে ভারতের মধ্যে থোরিয়ামের বিপুল ভান্ডার রয়েছে। পাশাপাশি ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটোমিক এনার্জির বিজ্ঞানীরা মনে করেছেন যে, থোরিয়ামের ভান্ডার ভারতে কখনও শেষ হবে না। এছাড়াও এই সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ভারতের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামের দ্বিতীয় স্টেজের অগ্রগতির মাধ্যমে আমাদের দেশকে থোরিয়ামের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। এর পাশাপাশি, ভারতের নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপের (NSG) মেম্বারশিপেরও প্রয়োজন নেই।
জানিয়ে রাখি যে, বিগত কয়েক বছরে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপ ভারতের বিভিন্ন নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠতে পারে, ভারতের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামের দ্বিতীয় স্টেজ ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ? যার উত্তরে জানাতে হয়, ভারত ইতিমধ্যেই একটি নতুন নিউক্লিয়ারের রিয়েক্টারের উদ্ভাবন করেছে। যেটি হল PFBR (Prototype Fast Breedar Reactor)। যেটিকে বলা হচ্ছে ব্রিডার।
আরও পড়ুন: উচিৎ শিক্ষা, মলদ্বীপকে বড় ঝটকা দিল ভারত! মাথায় হাত দ্বীপরাষ্ট্রের
এটির মাধ্যমে ১০০ কেজির জ্বালানি ব্যবহৃত হলে সেক্ষেত্রে ১০০ কেজির বেশি জ্বালানি উৎপাদিতও হতে পারে। এদিকে, ভারতের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামের দ্বিতীয় স্টেজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এই প্রোগ্রামে প্লুটোনিয়াম-২৩৯-এর পাশাপাশি ইউরেনিয়াম-২৩৮-এর ব্যবহার ছাড়াও ব্যবহৃত হবে থোরিয়াম। যেটি থেকে উৎপাদিত হবে ইউরেনিয়াম-২৩৩।
আরও পড়ুন: হয়ে যান চিন্তামুক্ত! এবার স্মার্টফোন নিজেই হয়ে যাবে মোবাইল টাওয়ার, মিটবে কল ড্রপের ঝামেলা
থোরিয়ামের বিপুল ভান্ডার: এবারে আমরা যদি থোরিয়ামের প্রাচুর্যের দিকে তাকাই সেক্ষেত্রে বলতে হয় যে, সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে ভারতে এটির বিপুল ভান্ডার রয়েছে। পাশাপাশি, কেবলমাত্র কেরালা এবং ওড়িশার সমুদ্র সৈকতের এলাকাতেই রয়েছে ৭০ শতাংশ থোরিয়াম। এদিকে, নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামের তৃতীয় স্টেজে নিউক্লিয়ার রিয়েক্টরে ইউরেনিয়াম-২৩৩ এবং ইউরেনিয়াম-২৩২-এর মাধ্যমে শক্তি সহ ইউরেনিয়াম-২৩৩ উৎপন্ন করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।