এবার বন্ধ হবে Jio-Airtel-এর দাদাগিরি! টেলিকম মন্ত্রী যা বললেন জেনে খুশি হবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) একটি বড়সড় তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেশের টেলিকম সেক্টরে এবার কোনো একটি বা দু’টি সংস্থার একচেটিয়া পরিস্থিতি বজায় থাকবে না। কারণ এবার সরকারি টেলিকম সংস্থা BSNL (Bharat Sanchar Nigam Limited) ক্রমশ তার অবস্থান শক্ত করছে।

এই প্রসঙ্গে গত শনিবার একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বৈষ্ণব ভারতীয় টেলিকম বাজারে দু’টি সংস্থার আধিপত্য সংক্রান্ত উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনিতেই বর্তমান সময়ে ভোডাফোন-আইডিয়া লিমিটেডের আর্থিক অবস্থার অবনতি এবং বাজারের শেয়ার হ্রাসের কারণে এই উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, ভোডাফোন-আইডিয়ার এহেন অবস্থা এবং এয়ারটেলের বর্তমান আর্থিক চ্যালেঞ্জের কারণে রিলায়েন্স জিও একমাত্র টেলিকম প্লেয়ার থাকবে কি না তা জানতে চাওয়া হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “না, আমরা একক খেলোয়াড়ের আধিপত্যের দিকে যাচ্ছি না। এমনকি দু’টি কোম্পানির আধিপত্যের অবস্থাও থাকবে না।”

টেলিকম বাজারে আধিপত্য বিস্তার করবে কে: উল্লেখ্য যে, বর্তমানে টেলিকম সেক্টরে তিনটি কোম্পানির প্রভাব রয়েছে। সেগুলি হল রিলায়েন্স জিও, ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়া। এমতাবস্থায়, জিও এখন সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। কোম্পানিটি 5G পরিষেবার ক্ষেত্রেও অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।

পাশাপাশি, সুনীল ভারতী মিত্তালের এয়ারটেল আবার জিওর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদিকে, ভোডাফোন-আইডিয়া এখনও তার 5G পরিষেবা সম্পর্কে কিছু ঘোষণা করেনি। এমতাবস্থায়, বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, BSNL-এর কার্যক্রমের স্তর ক্রমশ স্থিতিশীল হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কোম্পানিটি এখন পরিচালন মুনাফা অর্জন করছে। এটি BSNL-এর জন্য একটি “গেমচেঞ্জার” হতে পারে।

whatsapp image 2023 05 24 at 7.57.45 pm

কি জানিয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী: বৈষ্ণব আরও জানান যে, ভারত আগামী পাঁচ বছরে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি বড় দেশ হয়ে উঠবে। সরকার এজন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করছে। সরকার সেমিকন্ডাক্টর এবং ডিসপ্লে ফ্যাব ফ্যাক্টরিগুলিকে আকৃষ্ট করতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৭৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছিল।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর