বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়টা যেন কিছুতেই কালো যাচ্ছে না মার্ক জুকেরবার্গের (Mark Zuckerberg)। কখনও বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আবার কখনও একইসঙ্গে বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তিনি। এমতাবস্থায়, ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা (Meta) ফের একবার উঠে এল খবরের শিরোনামে।
জানা গিয়েছে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি (Cambridge Analytica Scandal)-র বিষয়ে মেটা ৬ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে নিষ্পত্তির প্রস্তাব দিয়েছে। মূলত, মেটার তরফে ২০১৮ সালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে প্রায় ৪ বছর ধরে চলমান ক্লাস ল স্যুট নিষ্পত্তির জন্য ৭২৫ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি। যা ভারতীয় মুদ্রা অনুযায়ী প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি ঘটনাটি কি: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ফেসবুক প্রায় ৮৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাডভাইজরি ফার্ম কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাথে ভাগ করে নেয়। এমতাবস্থায়, যে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কোম্পানির সাথে শেয়ার করা হয় সেই বিষয়ে তাঁরা অবগত ছিলেন না। ফলে তাঁদের অজান্তেই কোম্পানি এত বড় পদক্ষেপ নিয়ে ফেলে।
এদিকে, এই কেলেঙ্কারির পর ফেসবুকের উদ্দেশ্যে আঙুল তোলার পর্ব শুরু হয়। প্রকৃতপক্ষে, এই কেলেঙ্কারীর আসল উদ্দেশ্য ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি প্রচারে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার অংশগ্রহণ। পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য এই প্রচার অভিযানের জন্য ব্যবহার করারও উদ্দেশ্য ছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে বড় ভূমিকা: এমতাবস্থায়, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিততে সাহায্য করার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে, ২০১৮ সালে পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। শুধু তাই নয়, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য করা ভোটিংয়ে কারচুপির অভিযোগও উঠেছে। উল্লেখ্য যে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং ফেসবুকের এই বড় কেলেঙ্কারিটি প্রকাশিত হয়েছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কর্মচারী ক্রিস্টোফার উইলির দৌলতে। যদিও, এই নিষ্পত্তির মানে এই নয় যে, মেটা তার ভুল স্বীকার করেছে। তা সত্বেও বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।