নবদিগন্ত খুলে দিতে পারে দেশের তথ্য-প্রযুক্তির বাজারে! এবার AI নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী মোদী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই AI অর্থাৎ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) সমগ্ৰ বিশ্বজুড়েই নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছে। এমনকি, এটিকে ঘিরে বিভিন্ন জল্পনাও শুরু হয়েছে। ঠিক সেই আবহেই এবার OpenAI-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান গত শুক্রবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করেন।

সেখানেই ভারতের AI-এর ভবিষ্যতের প্রসঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান যে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভারতের প্রযুক্তিগত ইকোসিস্টেমকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। তিনি আরও জানান বিশেষ করে যুবক-যুবতীদের কাছে ভারতের প্রযুক্তিগত ইকোসিস্টেম বিস্তৃত করার জন্য AI-এর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।

AI রেগুলেশন নিয়ে আলোচনা: আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুল ChatGPT-র ডেভেলপার কোম্পানি OpenAI-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে গ্লোবাল রেগুলেশনের প্রয়োজনীয়তা সহ AI-এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত ছাড়াও, অল্টম্যান এই সপ্তাহে ইজরায়েল, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং দক্ষিণ কোরিয়া সহ ছয়টি দেশ সফর করছেন।

অল্টম্যানের সাথে দেখা করার পরে একটি টুইটে, প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন যে, ভারতের প্রযুক্তিগত ইকোসিস্টেমে AI-এর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। এদিকে, অল্টম্যান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই AI-এর গ্লোবাল রেগুলেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অল্টম্যান জানান তাঁর কোম্পানি বর্তমানে সেলফ রেগুলেশন করছে।

“AI ডিজিটাল পরিবর্তন ত্বরান্বিত করতে পারে”: প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইটে লিখেছেন, “আমরা এমন সমস্ত সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই যা আমাদের নাগরিকদের ক্ষমতাবৃদ্ধি করতে আমাদের ডিজিটাল পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে পারে।” এদিকে, অল্টম্যান জানিয়েছেন AI-এর প্রসঙ্গে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

অল্টম্যান আরও বলেন যে, “আমরা GPT-তে প্রায় ৮ মাস সময় ব্যয় করেছি এটি নিশ্চিত করতে যে এটি মুক্তির জন্য যথেষ্ট সুরক্ষিত ছিল। আমরা প্রযুক্তি তৈরি করেছি। পাশাপাশি, সীমাগুলি কি হওয়া উচিত তা নির্ধারণ করতে আমরা সংস্থাগুলির সাথে কাজ করেছি এবং সেগুলি পরীক্ষা করেছি। আমরা মনে করি সমন্বয় এবং সেলফ রেগুলেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন কিছু যা আমরা উপস্থাপন করতে চাই।” পাশাপাশি বিশ্বকে পুরোপুরি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় বলেও জানান তিনি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর