বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সফর সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তবে, এই সফর পড়শি দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। এর একটি বড় কারণ হল পাকিস্তান ও আমেরিকার সম্পর্কের সাম্প্রতিক সময়ের অনিশ্চয়তা। শুধু তাই নয়, আমেরিকা (America) ও ভারতের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতকে F-35 যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রস্তাব ইসলামাবাদে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডন রবিবার তাদের সম্পাদকীয়তে এই প্রসঙ্গে আলোচনা করেছে।
ভারতের (India) পদক্ষেপে টেনশন বাড়ছে পাকিস্তানের:
ডনের খবরে বলা হয়, আমেরিকা পাকিস্তানের কাছে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা ও পাঠানকোট ঘটনার দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য মার্কিন প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন পাকিস্তানবিরোধী কর্মী এস পল কাপুর। এর ফলে পাকিস্তান মনে করছে আমেরিকার কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা আবার প্রমাণ করতে হবে। পাকিস্তান অনুমান করেছে, ভারত (India) তার অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান তার বিদেশ ও নিরাপত্তা নীতি পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন অনুভব করছে।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ভবিষ্যৎ: এদিকে, আমেরিকায় ট্রাম্প প্রশাসনের আগমনে পাকিস্তান ও আমেরিকার সম্পর্কে অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি পাকিস্তানের জন্য নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়। এদিকে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা এই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বৈঠকের ফলাফল নিয়ে প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করতে হয়েছে পাকিস্তানের বিদেশ দফতরকে।
পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল ভারতকে (India) F-35-এর মতো উন্নত সামরিক প্রযুক্তি দেওয়ার আমেরিকার প্রস্তাব। এতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেছে সেই দেশ। মোদী-ট্রাম্পের যৌথ বিবৃতিতে ২০০৮ সালের মুম্বাই ও পাঠানকোট হামলার জন্য দায়ীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি করা হয়েছে পাকিস্তানকে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানি ভূখণ্ড সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। পাকিস্তান এইসব উল্লেখকে “একতরফা ও বিভ্রান্তিকর” বলে বর্ণনা করেছে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পাকিস্তানের জন্য বড় দুঃসংবাদ! কপাল খুলল টিম ইন্ডিয়ার
পাকিস্তানকে নতুন করে ভাবতে হবে: ডন জানিয়েছে যে, “সাম্প্রতিক ঘটনার পর ইসলামাবাদ আবারও আমেরিকান নীতিনির্ধারকদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ ভারত (India) তার অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কে জড়িত থাকার ক্ষেত্রে জবাবদিহির দায়বদ্ধতা থেকে বাঁচতে চাইছে। এমন পরিস্থিতিতে চুপচাপ ভারতের খেলা দেখা উচিত নয় পাকিস্তানের। খ্যাতি প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানের আরও সক্রিয় পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।”
আরও পড়ুন: আম্বানির দুর্ধর্ষ চমক! Jio Coin-এই লুকিয়ে “বড় রহস্য”, কীভাবে হবেন লাভবান?
এছাড়াও, ডনের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দীর্ঘ অবদান এবং আমেরিকার সাথে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা অব্যাহত থাকা সত্বেও পাকিস্তান অপ্রশংসিত রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে এটা খুবই স্পষ্ট যে পাকিস্তানকে তার বিদেশ ও নিরাপত্তা নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।