বাংলা হান্ট ডেস্ক: রামনগরী অযোধ্যায় (Ayodhya) ভগবান রামের মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ এখন জোরকদমে চলছে। অন্যদিকে, দেশের বিখ্যাত ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী সহ তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা বর্তমানে ভগবান রামের মূর্তি তৈরির বিষয়ে নজর দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অযোধ্যার রাম সেবক পুরমে ভগবান রামের মূর্তির জন্য কর্ণাটক থেকে তিনটি কালো রঙের পাথর আনা হয়েছে। মোট ১১ টি শিলা এখন অযোধ্যার রাম সেবক পুরমে ভগবান রামের মূর্তি তৈরির জন্য রয়েছে। এমতাবস্থায়, দেশের বিখ্যাত ভাস্কররা হাতুড়ি ও ছেনি ব্যবহার করে পাথর নিয়ে গবেষণা করছেন।
মূলত, নেপালের গণ্ডকী নদী ছাড়াও কর্ণাটক, রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যের পাথর নিয়ে গবেষণা করছেন ভাস্কররা। সূত্র অনুযায়ী কর্ণাটকের মহীশূর থেকে আনা শিলা থেকে রামলালার মূর্তি তৈরি করা হতে পারে। ব্যাঙ্গালোর থেকে অযোধ্যায় পৌঁছে যাওয়া ভাস্কর গণেশ ভট্টের মতে, কর্ণাটক থেকে আনা শ্যাম শিলা থেকে মূর্তি তৈরি হলে খুব ভালো হয়।
তৈরি হবে ৫১ ইঞ্চির মূর্তি: তবে, রামলালার মূর্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর দেবে ট্রাস্ট। যদিও গুঞ্জন চলছে যে, কর্ণাটক থেকে আসা শ্যাম শীলা থেকেই রামলালার ৫১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের মূর্তি তৈরি করা হবে। এই প্রসঙ্গে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেব গিরি বলেন, অযোধ্যার রাম সেবক পুরমে একাধিক রাজ্য থেকে বিভিন্ন ধরণের পাথর এসেছে। শিল্পীরা সেগুলি পরীক্ষা করছেন। এখন, কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। কারণ, সমস্ত শিল্পীর দেওয়া মতামত একসাথে গ্রহণ করার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সমস্ত প্রক্রিয়া এখন চলছে।
শুধু তাই নয়, গোবিন্দ দেব গিরি আরও জানান, আরও অন্য জায়গা থেকে পাথর আনতে এক মাস সময় লাগবে। এরপর আর পাথর নিয়ে আসা হবে না। যে পাথরগুলি এসেছে সেগুলো দিয়েই প্রতিমা তৈরি করা হবে। গোবিন্দ দেব গিরির মতে, “আমরা আলাদা আলাদা মূর্তি তৈরি করব এবং সেগুলির মধ্যে সেরা মূর্তিকে বেছে নেব।”
মূর্তি তৈরিতে ব্যবহৃত পাথর: ব্যাঙ্গালোরের ভাস্কর গণেশ ভাট জানিয়েছেন, দেশের অনেক জায়গা থেকে পাথর আনা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে কোন পাথর ঈশ্বরের রূপের মান পূরণ করছে তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এরপর এসব পাথর দিয়ে মডেল তৈরি করা হবে। সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মূর্তিকে বেছে নেওয়া হবে। পাশাপাশি, কর্ণাটক থেকে আনা শ্যাম শিলা সম্পর্কে তিনি বলেন, শ্যাম শিলা দ্বারা তৈরি প্রতিমা খুবই ভালো। প্রতিমার আসল রূপ তাতে স্পষ্ট হয়। পাথরের উপর মডেল তৈরি করা হবে। যেটিকে ট্রাস্ট দ্বারা চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিমা নির্মাণের জন্য সব পাথর এসেছে। সেগুলির প্রত্যেকটিই তাদের নিজস্ব গুনে চমৎকার, কিন্তু দৃষ্টিগত দিক থেকে ভিন্ন।