বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, খুব দ্রুত দেশে (India) জাতীয় জনগণনা শুরু হবে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই সময়ে আদমশুমারির সাথেই জাতি গণনাও হবে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার এই সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপিত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
দেশজুড়ে (India) এবার হবে জাতি গণনা:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বিরোধীদের তরফে জাতি গণনার জন্য লাগাতার দাবি জানানো হয়েছিল। বিশেষ করে এই দাবিতে বারংবার সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এমতাবস্থায়, এবার বিরোধীদের সেই দাবিকেই মান্যতা দিল মোদী সরকার। জানিয়ে রাখি যে, বুধবার মন্ত্রিসভার একাধিক কমিটির বৈঠক ছিল। যেখানে রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটিরও বৈঠক সম্পন্ন হয়।
ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যেখানে তিনি জানান, “আগামী জনগণনার অংশ হতে চলেছে জাতি গণনা। মন্ত্রিসভার রাজনীতি বিষয়ক কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” অর্থাৎ সোজা কথায় বলতে গেলে আদমশুমারির সময়ে দেশে (India) মোট জনসংখ্যার মধ্যে কোন জাতির কত সংখ্যা রয়েছে এবং কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে কত উপজাতি রয়েছে, সেই পরিসংখ্যানই মূলত গণনা করা হবে।
আরও পড়ুন: Banglahunt Breaking: হয়ে গেল কনফার্ম! ২১ জুলাই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ: সূত্র
জানিয়ে রাখি, ২০১১ সালে শেষবার ভারতে (India) জনগণনা করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে করোনার মতো ভয়াবহ মহামারী এবং অন্যান্য জটিলতা কাটিয়ে চলতি বছরেই নতুন করে জনগণনা শুরু হতে পারে। এদিকে, আগামী জনগণনা ডিজিটাল নির্ভর হতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পড়শি রাজ্যে বিহারেই একমাত্র জাতি গণনা সম্পন্ন হয়েছে। ওই পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে ওই রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশই অতি-অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ। পাশাপাশি অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ ২৭.১ শতাংশ, তফসিলি জাতি ১৯.৭ শতাংশ, এবং ১.৭ শতাংশ তফসিলি উপজাতির মানুষ বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছে গেলেন সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে করলেন সাক্ষাৎ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বারংবার জাতি গণনার বিষয়ে দাবি জানালেও এদিন অশ্বিনী বৈষ্ণব স্পষ্ট জানান, “কংগ্রেস সরকার লাগাতার জাতি গণনার বিরোধিতা করে আসছে। মনমোহন সিং ২০১০ সালে জানিয়েছিলেন জাতি গণনার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় বিবেচনা করা উচিত। পাশাপাশি, এই বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য মন্ত্রীদের একটি কমিটিও গঠন করা হয়। যেখানে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জাতি গণনার সুপারিশ করে। যদিও কংগ্রেস সরকার জাতি গণনা না করিয়ে কেবল মাত্র জাতি সমীক্ষা করায়।”