বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ক্রমবর্ধমান চেক বাউন্সের (Check Bounce) ঘটনাকে মোকাবিলার উদ্দেশ্যে এবার কঠোর হচ্ছে সরকার। পাশাপাশি, এই ঘটনাকে কমিয়ে আনতে এবার কেন্দ্রের তরফে দ্রুত একটি নিয়ম লাগু করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চেক বাউন্সের ঘটনা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি পরামর্শ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও, সম্প্রতি শিল্প সংস্থা পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি চেক বাউন্সের বিষয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক স্থগিতাদেশ দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। যার সাহায্যে সংশ্লিষ্ট চেক প্রদানকারীদের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হবে।
মূলত, চেক বাউন্সের ঘটনা অযথা আইনি ব্যবস্থার উপর বোঝা বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে এমন কিছু পরামর্শ চাওয়া হয়েছে, যাতে আইনি প্রক্রিয়ার আগে এই ঘটনা রুখতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এমনকি, ইতিমধ্যেই কিছু ভাবনা ভাবা হয়েছে। যেমন চেক প্রদানকারীর অ্যাকাউন্টে যদি পর্যাপ্ত টাকা না থাকে, সেক্ষেত্রে তাঁর অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে সেই পরিমান টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।
এমতাবস্থায়, অর্থ মন্ত্রক নতুন এই নিয়ম কার্যকর করলে সরাসরি চেক প্রদানকারীর অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে। পাশাপাশি, পরবর্তীকালে তাঁদের নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চেক বাউন্সের ক্রমবর্ধমান ঘটনার জেরে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরামর্শ উঠে আসে।
জানা গিয়েছে, যে গ্রাহক চেক ইস্যু করছেন তাঁর অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই পরিমান টাকা কেটে নেওয়ার জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি এবং অন্যান্য পরামর্শগুলিকে অনুসরণ করে বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, চেক বাউন্সের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের করা যেতে পারে। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সর্বোপরি, এই ঘটনায় শাস্তি হিসেবে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা চেকের অর্থের পরিমানের দ্বিগুণ জরিমানা করা হতে পারে।
এছাড়াও, অন্যান্য পরামর্শগুলির মধ্যে চেক বাউন্সের ক্ষেত্রে গ্রাহককে ঋণ খেলাপি হিসাবে বিবেচনা করার পাশাপাশি ক্রেডিট তথ্য সংস্থাগুলিকে রিপোর্ট করার বিষয়টিও উঠে এসেছে। যার ফলে চেক প্রদানকারীর ক্রেডিট স্কোর কম করা হতে পারে। তবে, এই সব পরামর্শ গ্রহণের আগে আইনি মতামত নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, যদি অর্থ মন্ত্রকের তরফে এই পরামর্শগুলি বাস্তবায়িত করা হয় সেক্ষেত্রে গ্রাহক চেকের টাকা দিতে বাধ্য হবেন। যার ফলে বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য আর আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে না। পাশাপাশি, এই নিয়মের জেরে সমগ্ৰ প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হয়ে যাবে এবং অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকলেও চেক ইস্যু করার প্রবণতাও কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।