কন্যা সন্তানদের বিয়ে নেই আর কোনও চিন্তা, ৫১ হাজার টাকা দেবে কেন্দ্র

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের সরকারও একাধিক প্রকল্প চালায়। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে কিছু থাকে বয়স্কদের জন্য, কিছু পড়ুয়াদের জন্য আবার কিছু থাকে মহিলাদের জন্যও। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমনই একটি প্রকল্পের কথা জানাবো যার মাধ্যমে মেয়েদের বিবাহের সময়ে পাওয়া যাবে ৫১,০০০ টাকা পর্যন্ত। এই প্রকল্পটি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হল।

এই স্কিমে আবেদন করার জন্য, মেয়ের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। পাশাপাশি, যে ছেলেটিকে মেয়েটি বিয়ে করতে যাচ্ছে তার বয়স ২১ বছর বা তার বেশি হতে হবে। একটি পরিবারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দু’টি মেয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে। এছাড়াও, এই প্রকল্পে তপশিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, সংখ্যালঘু, এবং সাধারণ শ্রেণির পরিবারের মেয়েরাও আবেদন করতে পারবে।

এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে, আবেদনকারীকে অবশ্যই উত্তর প্রদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। ইউপি সরকার পরিচালিত এই প্রকল্পের নাম হল শাদি অনুদান যোজনা (Shadi Anudan Yojana)। পাশাপাশি, এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের বার্ষিক আয় ৪৬,৮০০ টাকার বেশি এবং শহুরে এলাকার জন্য এই আয় ৫৬,৪০০ টাকার বেশি হওয়া যাবেনা।

top 5 indian bridal make up trends 2017

এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদনকারীর অবশ্যই আধার কার্ড থাকতে হবে। এছাড়াও, আয়ের শংসাপত্রের পাশাপাশি যে দম্পতি বিয়ে করছেন তাঁদের বয়সের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ যাতে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যেতে পারে তার জন্য অ্যাকাউন্টটি আধারের সাথে লিঙ্কড করে রাখতে হবে।

পাশাপাশি, আবেদনকারী যদি ওবিসি/এসসি/এসটি ক্যাটাগরির হয় তাহলে তার জাতি শংসাপত্র থাকা আবশ্যক। অন্যদের ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন নেই। সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ কন্যার বিবাহের ৯০ দিন আগে বা ৯০ দিন পরে তোলা যাবে।

এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের ওয়েবসাইট shadianudan.upsdc.gov.in-এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ওয়েবসাইটের হোম পেজে নতুন রেজিস্ট্রেশন অপশনে গিয়ে তথ্য ও নথি প্রদান করে আবেদন করা যাবে।

একইভাবে “শাদী শগুন যোজনা”-এর অধীনে মেয়েদের বিবাহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৫১ হাজার টাকা দেয়। তবে এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র দেশের সংখ্যালঘু পরিবারের জন্য। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে, বিয়ের আগে মেয়ের স্নাতক হওয়া আবশ্যক। এই স্কিমের আরেকটি শর্ত হল, যে সমস্ত মুসলিম মেয়েরা স্কুল স্তরে বেগম হযরত মহল জাতীয় বৃত্তি পেয়েছে শুধুমাত্র তারাই এটি পেতে পারে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর