বাংলা হান্ট ডেস্ক: রোজ কতকিছুই না ঘটে চারিদিকে। তবে এই ঘটনার ঘনঘটাতেও এমন কিছু প্রসঙ্গ সামনে আসে যা শুনে কার্যত চোখ কপালে উঠে যায় সবার। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার এক চমকপ্রদ ঘটনা প্রকাশ্যে এল। আমরা জানি যে, সাধারণত একজন পুরুষ কেবলমাত্র একজন মহিলার সাথেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। এমনকি, আইনতভাবেও এই নিয়মই বৈধ। তবে, এবার এক ব্যক্তি একসাথে তিনজন মহিলাকেই বিয়ে করেছেন। আর এই ঘটনাতেই অবাক হয়েছেন সকলে।
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এই ঘটনা কিন্তু একদমই সত্যি। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে আমাদের দেশেই। বেশ কয়েকবছর একসাথে লিভ-ইনে থাকার পর তিন বান্ধবীকেই বিয়ে করে নেন ওই ব্যক্তি। এমনকি, বাবা-মায়ের এই বিয়েতে জমিয়ে নাচ করে সন্তানরাও।
মূলত, আদিবাসী সমাজের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে। যেগুলি বছরের পর বছর এভাবেই চলে আসছে প্রজন্মদের হাত ধরে। সেই রেশ বজায় রেখেই এই বিয়ের ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে ১৫ বছর ধরে তিন বান্ধবীর সঙ্গে লিভ-ইনে থাকতেন ওই ব্যক্তি। সেই সময়ে মোট ছয় সন্তানও জন্ম নেয় তাঁদের। তারপরেই এত বছর পর একই বিয়ের মণ্ডপে আদিবাসী রীতি মেনে বিয়ে হয়েছে তিনজনেরই।
বিবাহের বন্ধন ছাড়াই রয়েছে একসাথে থাকার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা:
জানা গিয়েছে, আদিবাসী সমাজে কোনো যুবক-যুবতী যদি একে অপরকে পছন্দ করেন সেক্ষেত্রে তাঁরা সম্পূর্ণ স্বাধীনতার সাথে একসাথে বসবাস করতে পারেন। এমনকি সেক্ষেত্রে, বিবাহবন্ধনের কোনো প্রয়োজন পড়েনা। নেই। এছাড়াও, কেউ চাইলেই একাধিক স্ত্রীর সাথেও থাকতে পারেন। আর এক্ষেত্রেও ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, মরি ফলিয়ার বাসিন্দা তথা ওই গ্রামের প্রাক্তন সরপঞ্চ সমর্থ মৌর্য প্রায় ১৫ বছর আগে প্রেমের জেরে এক তরুণীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। এরপরে, তিনি আরও দু’জন মহিলার প্রেমে পড়ে যান। এমতাবস্থায়, তাঁদের সঙ্গে একই ছাদের নিচে বসবাস করছিলেন তিনি।
বিয়ের কার্ডে তিনজন স্ত্রীর নামও লেখা হয়:
মূলত, আদিবাসী সমাজের প্রথা অনুযায়ী, যে কোনো শুভকাজ করতে হলে রীতি অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ আবশ্যক। তাই এখন ওই তিন মহিলাকেই রীতি মেনে বিয়ে করেছেন মৌর্য। এমনকি, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পাশাপাশি আমন্ত্রণপত্রও বিতরণ করা হয়। এছাড়াও, বিয়ের কার্ডে তিন স্ত্রীর নামও লেখা ছিল।
জানা গিয়েছে, বিয়েতে আসা লোকজনের পাশাপাশি মৌর্যের ছয় সন্তানও অত্যন্ত আনন্দ করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে ভারতীয় সংবিধানের ৩৪২ নম্বর আর্টিক্যাল আদিবাসী সমাজের প্রাচীন সংস্কৃতি এবং রীতিনীতির সুরক্ষা প্রদান করেছে।