সুরাপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ! এবার এই কারণে বাড়তে চলেছে বিয়ারের দাম

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশে পেট্রোল-ডিজেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হয়ে যাওয়ায় জর্জরিত সকলে। তবে, মুদ্রাস্ফীতির ওই রেশ বজায় রেখে এবার সুরাপ্রেমীদের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ! কারণ, জানা গিয়েছে শীঘ্রই বিয়ারের দাম বাড়তে চলেছে। এই প্রসঙ্গে বিয়ার প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলি জানিয়েছে, কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন বিয়ারের দাম বাড়ানো হতে পারে। এর পাশাপাশি গ্রীষ্মের মরশুমে বিয়ারের চাহিদাও অনেক বেড়ে যায়। এমতাবস্থায়, দাম বৃদ্ধির পথেই হাঁটতে চলেছে সংস্থাগুলি।

কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি:
এই প্রসঙ্গে মানি কন্ট্রোলের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কোম্পানিগুলির যুক্তি হল বিয়ার তৈরিতে ব্যবহৃত বার্লির দাম তিন মাসে দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি, বোতল প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলিও দাম বাড়িয়েছে ৩০ শতাংশ। শুধু তাই নয়, লেবেল থেকে শুরু করে বক্সের দামও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিয়ারের দাম বাড়ানোর জন্য কোম্পানিগুলিকে ভাবতেই হচ্ছে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে United Breweries-এর সিইও ঋষি পার্দাল বলেছেন যে, প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র সহ অনেক রাজ্যে বিয়ারের দাম বাড়াতে চলেছে। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, দাম বৃদ্ধি এমনভাবে করা হবে যাতে গ্রাহকদের কাছে বেশি বোঝা না হয়। উল্লেখ্য যে, ইউবি কোম্পানি হাইনেকেন এবং কিংফিশার ব্র্যান্ডের অধীনে বিয়ার তৈরি করে। এর আগে কোম্পানির তরফে বিরা ৯১ ব্র্যান্ডের দাম বাড়ানো হয়।

জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলি ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে:
অন্যদিকে, ডিভান্স মডার্ন ব্রুয়ারিজের এমডি প্রেম দেওয়ান বলেন, “ক্রমবর্ধমান খরচের কারণে কোম্পানির উপর বোঝা বেড়েছে। এমতাবস্থায়, আমাদের সামনে দু’টি বিকল্প রয়েছে। হয় কোম্পানির বিয়ারের দাম বাড়ানো উচিত, নয়তো এর উপর ডিসকাউন্ট বাতিল করা উচিত।” ডিভান্স কোম্পানি গডফাদার, সিক্স ফিল্ডস, কোটসবার্গের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বিয়ার তৈরি করে।

Alcohol2

জানিয়ে রাখি যে, আমাদের দেশে মদের দামের উপর রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে। পাশাপাশি, রাজ্যগুলি এর বিক্রি থেকে প্রচুর রাজস্ব পায়। এই কারণেই দিল্লির মতো রাজ্যে মদের দোকানের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে এবং সরকারও তাদের লাইসেন্স ইস্যু করে আয়বৃদ্ধি করছে ।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর