বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের বড় নজির গড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এবার গুজরাটের (Gujarat) গান্ধীনগরে স্থিত তাঁর একটি জমি দান করেছেন। এমতাবস্থায়, সেই জমিতে গড়ে তোলা হবে “নাদ ব্রহ্ম” কলা কেন্দ্র। যেটি ভবিষ্যতে সঙ্গীত শিল্পের জ্ঞানের এক অনন্য কেন্দ্র হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, এই কেন্দ্রে ভারতীয় সঙ্গীত শিল্প সংক্রান্ত জ্ঞান এক ছাদের নিচে পরিচালিত হবে।
নজির গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদী: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই কেন্দ্রটি তৈরি করার জন্য মনমন্দির ফাউন্ডেশনকে তাঁর সরকারি জমি দান করেছেন। তিনি তাঁর জমি দান করে ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রয়াত বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি জমি পেয়েছিলেন। এই জমি গান্ধীনগরের সেক্টর-১-এ অবস্থিত।
এদিকে, গান্ধীনগরের সেক্টর-১-এ মনমন্দির ফাউন্ডেশন দ্বারা “নাদ ব্রহ্ম” কলা কেন্দ্রের শিল্যান্যাসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সি.আর. পাটিল ওই কেন্দ্রের শিল্যান্যাস করেন। “নাদ ব্রহ্ম” কলা কেন্দ্রের নকশাটিও অসাধারণ। ওই ভবনটিকে বীণার আকৃতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুখবর! এবার টিকিট ক্যানসেল করার ১ ঘন্টার মধ্যেই ফেরত মিলবে টাকা, IRCTC দিচ্ছে নয়া সুবিধা
ভবনটিতে ১৬ টি তলা থাকবে: এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল একটি ১৬ তলা “নাদ ব্রহ্ম” ভবন তৈরি করা। যেটি গান্ধীনগরকে ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করবে। “নাদ ব্রহ্ম” কলা কেন্দ্রে সব ধরণের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি, সেখানে এমন ১২ টিরও বেশি ক্লাস থাকবে যেখানে আগ্রহীরা গান এবং নাচ শিখতে পারবেন। এছাড়াও, থাকবে একটি বড় থিয়েটার। যেটিতে ২০০ জন বসতে পারবেন। পাশাপাশি, এমন ৫ টি স্টুডিও তৈরি করা হবে যেখানে স্টাডির পাশাপাশি করা যাবে প্র্যাকটিস। থাকবে ওপেন থিয়েটারও।
আরও পড়ুন: লিখেছেন ৮৫০ ফুট লম্বা ও ৮ কেজি ওজনের প্রেমপত্র, রয়েছে ৩ টি রেকর্ডস বুকে নাম, চমকে দেবে জীবনের কাহিনি
এছাড়াও থাকবে মডার্ন লাইব্রেরি ও আউটডোর মিউজিক পার্ক: এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। তৈরি হবে মডার্ন লাইব্রেরি। সেখানে এমন একটি মিউজিয়াম থাকবে যেখানে সঙ্গীতের ইতিহাস প্রদর্শন করা যাবে। একটি আউটডোর মিউজিক পার্কও থাকবে। পাশাপাশি, রেস্তোরাঁ ছাড়াও থাকবে আর্ট সেন্টার কমপ্লেক্সে একটি ক্যাফেটেরিয়া। আগামী সময়ে এই কমপ্লেক্সে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। এই সকল উদ্দেশ্য নিয়েই, মনমন্দির ফাউন্ডেশন সেক্টর-১-এ এমন একটি কেন্দ্র তৈরি করছে, যেটি ভারতের সঙ্গীত ও শিল্পকর্মের এক অনন্য কেন্দ্র হয়ে উঠবে।