যোগী স্টাইলে! এবার বাংলায় চলল বুলডোজার, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল এই নেতার কার্যালয়

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত জানুয়ারিতে তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির নাম। মালদা (Malda) ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকারের নৃশংস খুনের ঘটনায় তোলপাড় পড়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। শনিবার বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ধৃত নরেন্দ্রনাথের কার্যালয় এবং তাঁর ভাইয়ের একটি ক্লাব ঘর। রেলের জমি জবরদখল মুক্ত করতেই মালদা (Malda) টাউন স্টেশন সংলগ্ন ২২ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই অভিযান চালানো হয় বলে খবর।

মালদায় (Malda) বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হল বাবলা খুনে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার কার্যালয়

শনিবার বেলা ১২ টা থেকে আরপিএফ কর্মী এবং অফিসারদের বড়সড় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পূর্ব রেলের মালদা (Malda) ডিভিশন কর্তৃপক্ষ। রেলের জমিতে জবরদখল করে থাকা বাড়ি, অস্থায়ী দোকানঘর উচ্ছেদ অভিযানে প্রথমেই বুলডোজারের আঘাতে ভাঙা পড়ে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির একটি কার্যালয়। তারপরেই তাঁর ভাইয়ের একটি ক্লাবঘরও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরেই রেলের জায়গা দখল করে ওই কার্যালয় চালানোর অভিযোগ রয়েছে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির বিরুদ্ধে।

This tmc leader party office broken down in malda

রেলের জমি জবরদখল করে বানানোর অভিযোগ: ওই এলাকায় তাঁর ঘনিষ্ঠদের একটি ক্লাব ঘরও রয়েছে যা রেলের জায়গায় বানানো বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই জায়গাতেই তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকারকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এবার রেলের উদ্যোগে ভাঙা পড়ল কার্যালয় এবং ক্লাবঘর। পাশাপাশি বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত কৃষ্ণ রজকের বাড়িটিও ভেঙে দেওয়া হয় বুলডোজার চালিয়ে। ওই বাড়িটিও রেলের জায়গা জবরদখল করে বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

আরো পড়ুন : প্রথম সপ্তাহে নন্দনে ব্রাত্য ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’, এবারও খালি হাতেই ফিরতে হবে মিঠুনকে?

আগেই উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছিল রেল: রেল সূত্রে খবর, ওই এলাকায় প্রায় ১০০-র উপরে ঝুপড়ি, অস্থায়ী দোকান, ক্লাব ঘর তৈরি করা হয়েছে রেলের জায়গা দখল করে। এক মাস আগেই জবরদখল মুক্ত করতে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। তারপরেই এই উচ্ছেদ অভিযান। এ বিষয়ে ইংরেজবাজার (Malda) পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম দাস বলেন, রেলের জমিতে পরিত্যক্ত দোকান বা ঘর যেখানে রয়েছে সেগুলি জবরদখল মুক্ত করা হোক। কিন্তু যারা প্রায় ৩০-৪০ বছর ধরে এখানে ছোটখাটো ব্যবসা চালিয়ে আসছেন তাদের একটা বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া উচ্ছেদ করা উচিত নয়।

আরো পড়ুন : দুই নায়িকাতেই হিমশিম, শাক্যজিতের জীবনে নতুন টুইস্ট আনতে এন্ট্রি এই অভিনেত্রীর!

তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অন্যায় ভাবে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও পূর্ব রেলের মালদার ডিআরএমের বক্তব্য, নোটিশ জারি করে তারপরেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

X