গুরুত্বপূর্ণ জংশন, তবুও এই স্টেশনে থামে না একটাও ট্রেন! কারণ জানলে অবাক হবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয় রেল (Indian Railways) প্রতিষ্ঠিত হয় কয়েক শতাব্দী আগে। সে সময় ভারতে ইংরেজ রাজ। ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে রেলপথ বিস্তার শুরু করে। সেই সুবাদে ভারতের বিভিন্ন কোণায় গড়ে উঠেছে স্টেশন ও জংশন। সেই স্টেশন ও জংশনগুলো আজও সমান ভাবে ব্যবহৃত হয়।

বহু মানুষের রেল যাত্রার অন্যতম প্রধান ‘গেটওয়ে’ স্টেশন বা জংশনগুলি। ভারতে এমন অনেক স্টেশন বা জংশন রয়েছে যেখানে কোনও যাত্রী ওঠানামা করেন না, বা ট্রেন থামে না। আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য অসমে এমন একটি জংশন রয়েছে। এখানে ট্রেন থামে না কিংবা যাত্রী ওঠা-নামাও করে না। অবাক করে দেওয়া কথা হল এই স্টেশনে নেই কোনও প্লাটফর্ম।

এই স্টেশনটি অবস্থিত অসমের তিনসুকিয়া জেলায়। এই স্টেশনে ট্রেন না থামায় এখান থেকে কোনও যাত্রী উঠতে পারেন না। তিনসুকিয়া পরিচিত বাণিজ্যিক অঞ্চল হিসেবে। সেখানকার শ্রীপুরিয়া গাঁও (Sripuria Gaon) রেলওয়ে জংশনে নিযুক্ত রয়েছেন স্টেশন মাস্টার সহ ৩- ৫জন কর্মী।

হিজুগুড়িতে অবস্থিত শ্রীপুরিয়া গাঁও রেলওয়ে জংশন থেকে মাত্র সাত-আট মিনিট পৌঁছে যাওয়া যায় তিনসুকিয়া। ডিব্রুগড়-নিউ তিনসুকিয়া রেলওয়ে স্টেশন এবং ওল্ড তিনসুকিয়া রেলওয়ে স্টেশন-ডিগবয়-মার্গেরিটা-লিদুর রেললাইনের সাথে যুক্ত শ্রীপুরিয়া গাঁও রেলওয়ে জংশন।

railways 1 1 16896745893x2

শ্রীপুরিয়া গাঁও রেলওয়ে জংশন থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিউ তিনসুকিয়া রেলওয়ে স্টেশন এবং মাত্র ৮.৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওল্ড তিনসুকিয়া রেলওয়ে স্টেশন। এত কম দূরত্ব থাকায় তাই যাত্রী ওঠা নামার কোনও প্রয়োজন হয় না। সেই কারণে সম্ভবত এই স্টেশন থামেনা কোনও ট্রেন।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর