বাংলাহান্ট ডেস্ক : যেকোনো সিনেমাতেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকেন নায়ক। তাঁকে হাইলাইট করেই তৈরি হয় ছবি। কিন্তু সত্তরের দশকে এমন একজন ভিলেনের (Villain) আবির্ভাব হয়েছিল যিনি নায়কদের থেকেও বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। সে সময়কার সবথেকে হিট নায়ক অমিতাভ বচ্চনের থেকেও তাঁর পারিশ্রমিক ছিল বেশি। শুধু তাই নয়, সেই সময়ের নিরিখে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি পারিশ্রমিকও ছিল ওই অভিনেতারই।
দেশের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক ছিল এই বলিউড ভিলেনের (Villain)
শুরুটা নায়কের চরিত্র দিয়ে করলেও একটা সময় পরপর নায়কের চরিত্রের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলিউডের সর্বকালের সবথেকে আইকনিক ভিলেন (Villain) তিনি। এমনকি তাঁর নেতিবাচক চরিত্রের প্রভাব এতটাই পড়েছিল যে সদ্যোজাত সন্তানের নাম তাঁর নামে রাখতে আপত্তি করতেন বাবা মায়েরা। ওই অভিনেতার নাম প্রাণ।
শুরু করেছিলেন নায়ক হিসেবে: বলিউডের দুর্ধর্ষ ভিলেন (Villain), এ যাবৎ যতজন খলনায়ক এসেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে, প্রাণ নিঃসন্দেহে জনপ্রিয়তায় থাকবেন সবার উপরে। পুরো নাম প্রাণ কিষণ শিকন্দ। ১৯৪০ এর শুরুতে নায়ক হিসেবেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু দশকের শেষের দিকে নেতিবাচক রোলে শিফট করেন তিনি। সেই থেকে ১৯৮০ র দশক পর্যন্ত একাই বলিউডে রাজত্ব করেছেন প্রাণ।
আরো পড়ুন : ঐতিহাসিক! প্রথম বার অস্কারের মনোনয়নে বাংলা গান, বিরাট স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় ইমন
সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নিতেন: শোনা যায়, অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, জিতেন্দ্র, সুনীল দত্ত, বিনোদ খান্নার মতো সে সময়কার টপ হিরোদের থেকেও বেশি ছিল প্রাণের পারিশ্রমিক। নায়কদের সঙ্গে তাঁর মুখও থাকত পোস্টারে। একজন ভিলেনকে (Villain) দেখার জন্য দর্শক উপচে পড়ত হলে। পরবর্তীতে অমিতাভ নিজের পারিশ্রমিক বাড়ানোর আগে পর্যন্ত প্রাণই ছিলেন শীর্ষে।
আরো পড়ুন : মানতে পারেননি বিচ্ছেদ, ফাঁকা বাড়িতে প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে যা করলেন নার্গিসের বোন… শুনলে রাতের ঘুম উড়বে!
১৯৫০-৬০ এর দশকে তখন প্রাণের দাপট শিখর ছুঁয়েছে। সে সময় তাঁর নাম সমার্থক হয়ে উঠেছিল খারাপ মানুষের সঙ্গে। অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে, সন্তানের নাম প্রাণ রাখতে চাইতেন না বাবা মা, এমনই ছিল তাঁর প্রভাব। তবে শুধুই যে নেতিবাচক চরিত্র করতেন তিনি এমনটা কিন্তু নয়। বেশ কিছু ধূসর চরিত্রেও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন প্রাণ। তবে ভিলেন হিসেবেই আইকনিক হয়ে রয়েছেন তিনি।