বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনা দাদাগিরি কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ভারতীয় নৌসেনার। এই আবহেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একজোড়া অ্যাডভান্সড ন্যাভাল অ্যান্টি-শিপ ওয়েপন সিস্টেম আপগ্রেড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত (India)। ব্রহ্মস এনজি-র পর নতুন প্রজন্মের ‘রুদ্র এম ৪’ মিসাইল বা ‘রুদ্রম ৪’কে আরও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
ভারতের দাপটে কাঁপবে চিন (India)
আগামী দিনে ভারতীয় জলসীমাকে আরও নিরাপদ করতে ভারতীয় নৌসেনাবাহিনীর (Indian Navy) অন্যতম সেরা বাজি হতে চলেছে ব্রহ্মস এনজি ও রুদ্র। এই দুই অ্যাডভান্সড ন্যাভাল অ্যান্টি-শিপ ওয়েপন সিস্টেমকে আরও ঘাতক হিসাবে গড়ে তুলে এদেরই নাম দেওয়া হতে পারে ‘রুদ্রম ৪’। ‘রুদ্র-এম -৪’ বা ‘রুদ্রম ৪’কে ডিআরডিও-র ন্যাভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের মিডিয়াম (NASM-MR) ও লং রেঞ্জ স্ট্যান্ড অফ ওয়েপন (LRSOW) হিসাবে আপগ্রেড করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ‘রাজ্য টাকা খরচ করবে কেন’, ক্ষুব্ধ বিচারপতি, মঙ্গলেই ‘ওই’ ৬ জনকে তলব! তোলপাড়
নয়া আপগ্রেডেশনের ফলে ‘রুদ্রম ৪’ হয়ে উঠবে আরও নিখুঁত ও আক্রমণশীল। লঞ্চপ্যাড থেকে ‘রুদ্র’কে তাক করে উৎক্ষেপন করলেই শত্রুপক্ষের বোমারু বিমানের উপর নিখুঁত হামলা চালাবে এই মিসাইল। লঞ্চপ্যাড থেকে রুদ্রমকে উৎক্ষেপণ করলে তার হদিশও পাবে না শত্রু পক্ষ। ‘আপডেটেড’ রুদ্র ৪ এতটাই নিখুঁতভাবে প্রস্তুত হচ্ছে যে শত্রুপক্ষের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও একে মাঝ আকাশে নিরস্ত্র করতে পারবেনা। ভারতীয় নৌ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই খবর সামনে আসার পরই স্বাভাবিকভাবে কপালে চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তান ও চিনের (India-China)।
জানা যাচ্ছে, রুদ্রম ৪ সমুদ্রপৃষ্ঠের মাত্র ৫ মিটার উপর থেকে উড়তে সক্ষম, তাই শত্রুপক্ষের রেডারে এর হদিশ পাওয়া কার্যত অসম্ভব। ২০২৩ সালেই মিডিয়াম রেঞ্জের ন্যাভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল নির্মাণের ছাড়পত্র মেলে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের তরফে। ভারতীয় নৌবাহিনী মূলত ব্রহ্মস ও রুদ্র-কে দিয়ে একটি ‘ডিফেন্স ইকো-সিস্টেম’ তৈরি করতে চাইছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। এই ধরনের ‘ডিফেন্স ইকো-সিস্টেম’কে ভেদ করার ক্ষমতা থাকবে না চিনেরও।