বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পায়ের পাতা এই মহিলার! জুতোর মাপ শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে অনেকেই বিভিন্ন বিরল সব কৃতিত্বের মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ডের (World Record) অধিকারী হন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার অনেকে তাঁদের শারীরিক দিক থেকেও এতটাই অনন্য হন যে সকলের নজর আকৃষ্ট হয়ে সেদিকে। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্ৰতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক মহিলার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি তাঁর পায়ের ওপর ভর করেই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে (Guinness World Records) নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকার (America) টেক্সাসে বসবাসকারী তানিয়া হারবার্ট ইতিমধ্যেই তাঁর পায়ের পাতার কারণে উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। শুধু তাই নয়, তাঁর উচ্চতা এবং পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য সম্পর্কে জানলেও রীতিমতো হুঁশ উড়ে যাবে সকলের। এদিকে, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।

১৮ নম্বর জুতো পরেন তিনি: জানা গিয়েছে, হারবার্টের উচ্চতা হল প্রায় ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি। এমতাবস্থায়, তিনি সবচেয়ে লম্বা মহিলা রুমেসা গেলগির থেকে মাত্র তিন ইঞ্চি ছোট। যদিও, দৈর্ঘ্যের দিক থেকে তিনি প্রথমে না থাকতে পারলেও পায়ের পাতার দৈর্ঘ্যের নিরিখে তিনি শীর্ষে রয়েছেন। জেনে অবাক হবেন যে, হারবার্টের ডান পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য হল প্রায় ৩৩.১ সেমি (১৩.০৩ ইঞ্চি)। শুধু তাই নয়, তাঁর বাম পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য হল ৩২.৫ সেমি (১২.৭৯ ইঞ্চি)। এমতাবস্থায়, পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য এত লম্বা হওয়ার কারণে তানিয়া হারবার্ট ১৮ নম্বর জুতো পরেন।

জুতো কিনতে হয় একাধিক সমস্যা: এই প্রসঙ্গে হারবার্ট জানিয়েছেন যে, তাঁর পায়ের জন্য জুতো কেনার কাজটি আদৌ সহজ নয়। এমনকি, ১৮ নম্বর জুতোর কারণে তাঁকে বিভিন্ন জুতোর শোরুমে ঘুরে বেড়াতে হয় বলেও জানান তিনি। তাঁর মতে, স্কুলে পড়াকালীনই হারবার্টের পায়ের পাতা অনেক লম্বা হয়ে যায়। তবে, হারবার্ট তাঁর এহেন দৈহিক বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই মেনে নিয়েছেন।

পরিবারের সদস্যরা সহযোগিতা করেন: হারবার্ট জানিয়েছেন, “আজ আমি যেখানে আছি, তার পেছনে আমার পরিবারের সদস্যদের অনেক অবদান রয়েছে। বড় হওয়ার পর আমার বাবা-মা কখনোই আমাকে হতাশ হতে দেননি। পরিবর্তে, তাঁরা সবসময় আমাকে উৎসাহিত করতেন। যার কারণে আমি কখনোই লম্বা হওয়াকে খারাপ জিনিস হিসেবে দেখিনি। শুধু তাই নয়, আমার বন্ধুরাও আমার সম্পূর্ণ যত্ন নিত।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর