বাংলা হান্ট ডেস্ক: এখনকার দিনে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহার করেন না এমন মানুষ রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। প্রায় প্রতিটি কাজেই প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে নেটমাধ্যম। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় উপার্জনের পথও। ঠিক সেই কাজটিই করে দেখিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মির্জাপুরের মহিলা কৃষক বন্দনা সিং। জানা গিয়েছে, তিনি ইউটিউব ও গুগল থেকে ভিডিও দেখেই ড্রাগন ফল ও স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী এই চাষ থেকেই তিনি বর্তমানে বছরে ৫ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
ড্রাগন ফল চাষেই মিলছে লাভ: মূলত, মির্জাপুর জেলার ইমিলিয়াছট্টির মহিলা কৃষক বন্দনা সিং বাজাহুর গ্রামে ড্রাগন ফল ও স্ট্রবেরি চাষ করছেন। একজন সাধারণ গৃহবধূ হিসেবে বন্দনার পক্ষে এমন কিছু ভাবা এবং তা করার সাহস দেখানো সহজ ছিল না। যদিও, তিনি তাঁর চেষ্টা এবং একাগ্রতার মাধ্যমে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখেই এই কাজ শুরু করেন।
ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে কৃষিকাজ শিখে নেন: জানা গিয়েছে, একদিন বন্দনা সিং তাঁর স্মার্টফোনে ড্রাগন ফলের চাষ সম্পর্কে ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখেছিলেন। এই ভিডিওটি দেখার পরেই বন্দনার মনে ড্রাগন ফল চাষ সম্পর্কে আগ্রহ জন্মেছিল। এরপর তিনি গুগলের সাহায্যে এই চাষের প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন এবং তারপর উদ্যান বিভাগের সহযোগিতা নেন। ওই সহযোগিতা পেয়েই বন্দনা অর্ধেক একর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন।
এই চাষ থেকে তিনি বছরে পাঁচ লক্ষ টাকার মোট লাভ পান। এছাড়াও, তিনি ড্রাগন ফলের পাশাপাশি স্ট্রবেরিও চাষ করছেন। এদিকে, ড্রাগন ফল চাষে সাফল্য আসায় তিনি এক একর জমিতে এই চাষ করার মনস্থির করেছেন। এজন্য তিনি নিজেই একটি ড্রাগন ফলের নার্সারি গড়ে তুলেছেন। যেখান থেকে চারা তৈরি হওয়ার পর তা জমিতে রোপণ করা হয়।
চাষ করেই লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ: জানা গিয়েছে, এই অনন্য ফলটি চাষ করতে কংক্রিটের পিলার, লোহার রিং টায়ার এবং গোবর সার প্রয়োজন। প্রথম ও দ্বিতীয় বছরে কম লাভ হওয়ায় এই চাষে ধৈর্য্য ধরতে হবে। কিন্তু তৃতীয় বছর থেকেই দুর্দান্ত লাভ আসা শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে বন্দনা জানিয়েছেন, ড্রাগন ফলের একটি চারা বিক্রি হয় ৫০ টাকায়। এমতাবস্থায়, চাষের পর ফসল প্রস্তুত হওয়ার পরে ড্রাগন ফল সরাসরি বারাণসীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এই ফল বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়। আর এইভাবেই এই চাষে মেলে দুর্দান্ত লাভ।