বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনকে কেন্দ্র করেই আরও একবার শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) কলকাতায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বাংলা কনভেনশন কেন্দ্রে উদ্বোধন হবে এই বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট বা বিজিবিএসের। আগামী ৫ এবং ৬ ফ্রেব্রুয়ারি দু’দিন ধরে বসতে চলেছে এই আসর। সূত্রের খবর ৫ তারিখ উদ্বোধনের দিনেই উপস্থিত থাকতে পারেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার।
বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলন উপলক্ষে কলকতায় আসবেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)?
সূত্রের খবর, এই বিজনেস সামিটে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের প্রত্যেক শিল্পপতিরাও। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে আসতে পারেন আইটিসি-কর্তা সঞ্জীব পুরী, হিরানন্দানী গোষ্ঠীর কর্ণধার নিরঞ্জন হিরানন্দানী, গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ দাস, ডালমিয়া গোষ্ঠীর পুনীত ডালমিয়া-সহ আরও অনেকে। এছাড়াও প্রত্যেক বারের মতো এবারও উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দেশের বণিকমহলের প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতেরা।
আদানি গোষ্ঠীর তরফে কেউ যোগ দেবেন কি না, সে ব্যাপারে সরকারিভাবে কিছু জানা যায়নি। সূত্রের খবর, এই গোষ্ঠীর শীর্ষ প্রতিনিধিদের আসার সম্ভাবনা কম। প্রসঙ্গত, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদানিদের হাতে লেটার অব ইনটেন্ট তুলে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অধিকাংশ রাজ্যে কেরোসিন দেওয়া বন্ধ করল কেন্দ্র! বাদ পশ্চিমবঙ্গ?
গতবারের সম্মেলনে বাংলার অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিএসডিপি) নিয়ে উচ্চাশা প্রকাশ করেছিলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) সহ শিল্প-কর্তারা। সূত্রের খবর সেই দিকটি এ বার তুলে ধরতে চায় রাজ্য। বাজেট বরাদ্দ অনুযায়ী রাজ্যের দাবি এই অর্থবর্ষে জিএসডিপি পৌঁছতে পারে ১৮.৭৯ লক্ষ কোটি টাকায়। উৎপাদন, তথ্যপ্রযুক্তি, সিমেন্ট,চামড়া, ইস্পাত, বস্ত্র ইত্যাদি ক্ষেত্র বাংলার অর্থনীতিকে মজবুত করছে। তাই দেশের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে রাজ্যকে লগ্নির উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে দেখাতে চায় রাজ্য সরকার। আধিকারিকদের একাংশ বলছেন, বাংলায় ডেটা-সেন্টার তৈরিতে লগ্নির সম্ভাবনা অনেক বেশি।
প্রসঙ্গত এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে বিজিবিএসে যোগ দিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। সেসময় পরবর্তী তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২০,০০০ কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কালীঘাট মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন ভারতীয় ধনকুবের। এখনও চলছে সেই মন্দির সংস্কারের কাজ। মনে করা হচ্ছে, এই সফর থেকেই মন্দির সংস্কারের কাজ দেখতে কালীঘাট যেতে পারেন তিনি। সবমিলিয়ে এ বারের সম্মেলনেও মুকেশ আম্বানির থেকে উল্লেখযোগ্য লগ্নি-প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা করছে রাজ্য।
সূত্রের খবর, এ বারের সম্মেলনে একাধিক নীতি ঘোষণা করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। তার মধ্যে থাকতে পারে বস্ত্র ও চর্মশিল্প নীতি,সেমিকনডাক্টর, গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টার,ডিফেন্স প্রোকিওরমেন্ট ইত্যাদি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত বারের সম্মেলনে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পকে (এমএসএমই) ‘থিম’ করেছিল রাজ্য সরকার। তবে, এ বার সামগ্রিক শিল্প ক্ষেত্রকে তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে।