ইউটিউবে ভিডিও বানিয়েই প্রতি মাসে উপার্জন ১০ লক্ষ টাকা! এই যুবকের কাহিনী অবাক করবে সবাইকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান যুগে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উপার্জনের ক্ষেত্রে একাধিক বিকল্প উপায়ের পথ খোলা রয়েছে। এমতাবস্থায়, সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)-কে কাজে লাগিয়েও বিপুল রোজগার করছেন অনেকেই। পাশাপাশি, ইউটিউবের (Youtube) মাধ্যমেও সফলতা অর্জন করছেন বহু মানুষ। মূলত, এই প্ল্যাটফর্মটি দেশের যুবসমাজের কাছে কেরিয়ারের একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এমতাবস্থায়, আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁদের জীবন বদলে দিয়েছে ইউটিউব।

বর্তমান প্ৰতিবেদনে আমরা সেইরকমই এক যুবকের প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব। যিনি বর্তমানে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। মূলত, আমরা ইউটিউবার সতীশ কুশওয়াহারের প্রসঙ্গে আপনাদের জনাবো। যিনি এখন নেটদুনিয়ায় একটি সুপরিচিত নাম। শুধু তাই নয়, ওই ইউটিউবার ইতিমধ্যেই মাত্র ২৫ বছর বয়সে তাঁর নিজের ফ্ল্যাটও কিনে নিয়েছেন। এমতাবস্থায়, উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া থেকে উঠে আসা সতীশ কুশওয়াহারের এই অনবদ্য সাফল্যের কাহিনি অবাক করবে সবাইকেই।

সিনেমা তৈরির স্বপ্ন দেখতেন তিনি: এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া টুডে-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা সতীশ সবসময়ই ফিল্ম মেকিং-এর ওপর তাঁর কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। এদিকে, ছোটবেলা থেকেই কারো ফোন হাতে পেলেই তিনি দ্রুত ভিডিও রেকর্ডিং শুরু করে বিভিন্ন দৃশ্য রেকর্ড করতেন। যদিও, একটি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা সতীশ খরচের কারণে ফিল্ম মেকিং-এর কোনো কোর্স করতে পারেননি। এমতাবস্থায়, একটা সময়ে তিনি স্কলারশিপকে মাধ্যম করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন।

একটি পরামর্শ জীবন বদলে দেয় তাঁর: সতীশ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হলেও ক্যামেরার প্রতি তাঁর টান একটুও কমে যায়নি। বরং, সময় পেলেই তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণের বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখতেন। এমতাবস্থায়, তাঁর এক বন্ধু তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে তিনি ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে আয় করতে পারেন। আর এই বুদ্ধিই সতীশের জীবন বদলে দিয়েছে। তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে ব্লগিং এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেন।

কিনেছেন ফ্ল্যাট: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মাত্র ২২ বছর বয়সে মুম্বাইতে চলে আসেন সতীশ। প্রথমে তিনি সেখানে পাঁচ জনের সাথে এক রুমের একটি ছোট ফ্ল্যাটে থাকতেন। তবে, আজ তিনি তাঁর নিজের ফ্ল্যাট কিনতে সমর্থ হয়েছেন। এদিকে, বর্তমানে ইউটিউবে তাঁর ১০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

106532916 1559038630923610 8065238040403189954 o 300x255 1

প্রতি মাসে হয় মোটা আয়: জানা গিয়েছে, বর্তমানে সতীশ প্রতি মাসে ৮ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রমোশন, অ্যাডভার্টাইজিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে হওয়া আয় যুক্ত হলে প্রতি মাসে তাঁর আয়ের পরিমান ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকায়ও পৌঁছে যায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর