বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহার করেন না এমন মানুষ রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। স্মার্টফোনের দৌলতে এখন খুব সহজেই সবাই ঢুঁ মারতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়ার একাধিক প্ল্যাটফর্মে। এমতাবস্থায়, সেগুলিকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই বিভিন্ন নজিরবিহীন কাজ করে বসেন। বর্তমান প্রতিবেদনেও আমরা ঠিক সেইরকমই এক প্রসঙ্গের উপস্থাপন করব। যেখানে ইউটিউব থেকে স্ট্রবেরি চাষ শিখে এখন কয়েক লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন এক যুবক।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, হরিয়াণাকে (Haryana) কৃষক ও ক্রীড়াবিদদের রাজ্য বলা হয়। মূলত, ওই রাজ্য থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়রা তাঁদের ছাপ রাখতে সক্ষম হন বড় পরিসরে। এর পাশাপাশি ওই রাজ্যকে কৃষির ক্ষেত্রেও শীর্ষ বলে মনে করা হয়। এমতাবস্থায়, আজ আমরা সোনিপতে বসবাসকারী কৃষক অঙ্কিতের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যিনি ইতিমধ্যেই জেলার অন্যান্য কৃষক এবং যুবকদের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।
ইউটিউবের মাধ্যমে শিখে নেন স্ট্রবেরি চাষ: এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সোনিপতের চিতানা গ্রামের বাসিন্দা অঙ্কিতের বাবা পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। এদিকে, অঙ্কিত প্রায় বছর পাঁচেক আগে ইউটিউবে চাষের নতুন নতুন কৌশল শেখা শুরু করেন। সেই সময়েই তিনি ইউটিউব থেকে কিভাবে স্ট্রবেরি চাষ করতে হয় তাও শিখেছিলেন। পাশাপাশি, চাষটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও জেনে নেন। তারপরেই তিনি তাঁর ক্ষেতে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করে দেন। শুধু তাই নয়, অল্প সময়ের মধ্যেই স্ট্রবেরি চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে শুরু করেন তিনি।
কৃষিকাজের পাশাপাশি চলছে পড়াশোনাও: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কৃষিকাজের পাশাপাশি অঙ্কিত স্নাতকও করছেন। প্রায় পাঁচ বছর আগে, ২ একর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করতে গিয়ে অঙ্কিতের খরচ হয়েছিল ৭ লক্ষ টাকা। এমতাবস্থায়, এখন তিনি এই চাষ থেকে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি অনেকের কর্মসংস্থানও করেছেন। এই প্রসঙ্গে অঙ্কিত জানিয়েছেন যে, তাঁকে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। বরং, ফোন মারফতই এগুলি বিক্রি হয়ে যায়।
করছেন কর্মসংস্থান: এছাড়াও তিনি আরও বলেন, এই ধরণের চাষে যতটা আয় করা সম্ভব পূর্বপুরুষরা গম এবং ধানের চাষ করে এত লাভ করতে পারেননি। বর্তমান যুগে কর্মসংস্থান খুবই কঠিন। তাই তিনি এই ধরণের কৃষিকাজ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, এখন তিনি অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন। এছাড়াও অঙ্কিত জানান, এই ফসল বিক্রি করতে তাঁকে কোনো কষ্ট করতে হয় না। সোনিপত-দিল্লির ব্যবসায়ীরা ফোনে তাঁদের চাহিদার কথা জানান এবং আশেপাশের গ্রামবাসীরাও এই ফসল কিনে নেন।