বর্ষীয়ান কেউ নয়, এই তরুণীই নেতৃত্ব দেবেন টাটা গ্রুপকে! চমকে দেবে তাঁর পরিচয়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের অন্যতম একটি প্রাচীন ব্যবসায়িক গোষ্ঠী হল টাটা গ্রুপ (Tata Group)। সময়ের সাথে সাথে টাটা গ্রুপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা প্রসারিত করেছে। বর্তমানে লবণ তৈরি থেকে শুরু করে বিমান পরিষেবা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই দাপটের সাথে এগিয়ে চলেছে এই গ্রুপ। তবে, টাটা গ্রুপ আজকে যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা জেআরডি টাটা এবং রতন টাটার বছরের পর বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণ। এমতাবস্থায়, অনেকেই এটা জানতে চান যে ভবিষ্যতে টাটা গ্রুপের নেতৃত্ব কে দেবেন? অধিকাংশজনই এই উত্তর না জানলেও ৩৪ বছর বয়সী মায়া টাটা দেশের অন্যতম এই প্রভাবশালী ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সবথেকে এগিয়ে রয়েছেন। নিজেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থেকে দূরে সরিয়ে রেখে মায়া টাটা তাঁর নিজের কাজেই ব্যস্ত থাকেন। সাধারণ মানুষের কথা তো বাদ দিন, টাটা গ্রুপের (Tata Group) মধ্যেও খুব কম মানুষই তাঁকে চেনেন।

এই তরুণীই নেতৃত্ব দেবেন টাটা গ্রুপকে (Tata Group):

মায়া টাটা কে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মায়া টাটা সংশ্লিষ্ট গ্রুপের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যা। আসলে মায়া হলেন বর্ষীয়ান শিল্পপতি রতন টাটার ভাইঝি। মায়া টাটা জন্মগ্রহণ করেন নোয়েল টাটা এবং আলু মিস্ত্রির ঘরে। তাঁর বাবা নোয়েল টাটা হলেন রতন টাটার সৎ ভাই। এদিকে, তাঁর মা আলু মিস্ত্রি টাটা গ্রুপের (Tata Group) প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রয়াত সাইরাস মিস্ত্রির বোন। জানিয়ে রাখি যে, সাইরাস ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট এবং স্টার্লিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের মাধ্যমে টাটা সন্সে মিস্ত্রি পরিবারের ১৮.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এমতাবস্থায় টাটা সন্সে এই অংশীদারিত্ব বিবেচনা করে, অনুমান করা হচ্ছে যে, ভবিষ্যতে মায়াই টাটা গ্রুপের নেতৃত্ব দিতে পারেন।

This young woman will lead the Tata Group.

টাটা গ্রুপে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন: এদিকে, মায়ার বয়স অল্প হলেও তিনি ইতিমধ্যেই টাটা গ্রুপের (Tata Group) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। মায়া UK-র ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেইস বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। সেখানে তিনি ব্যবসার জটিল জগত বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি ইতিমধ্যেই টাটা ক্যাপিটালের ফ্ল্যাগশিপ প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড টাটা অপর্চুনিটিজ ফান্ডের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে তিনি পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট এবং বিনিয়োগকারীদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেন।

আরও পড়ুন: PNB-তে অ্যাকাউন্ট থাকলে হয়ে যান সাবধান! এই কারণে গ্রাহকদের সতর্ক করল ব্যাঙ্ক

Tata New অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা: শুধু তাই নয়, টাটা ডিজিটালে কাজ করার সময়, Tata New অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রেও মায়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যেটি সমগ্র গ্রুপের জন্য একটি বড় অর্জন ছিল। দায়িত্ব গ্রহণ এবং সাফল্য অর্জনের জন্য তাঁর পদক্ষেপকে গ্রুপ (Tata Group) উপেক্ষা করেনি। বর্তমানে তিনি টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টের ছয়জন বোর্ড সদস্যের অন্যতম একজন। এটি কলকাতায় অবস্থিত একটি ক্যান্সার হাসপাতাল। যা ২০১১ সালে রতন টাটা উদ্বোধন করেছিলেন।

আরও পড়ুন: Apple-কে আসল দাপট দেখাল ভারত! তৈরি হল নজির, “হাঁ” করে তাকিয়ে থাকল চিন

এদিকে ইকোনমিক টাইমসের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে টাটা গ্রুপে (Tata Group) মায়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কথা বলা হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, ধীরে ধীরে বড় দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। তাঁর সূক্ষ্ম অথচ প্রভাবশালী উপস্থিতি তাঁকে টাটা সাম্রাজ্যের ভবিষ্যতে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী হিসেবে চিহ্নিত করে। টাটা সন্সের এজিএম-এ মায়ার ভূমিকা পরিলক্ষিত করার পর অনুমান করা হচ্ছে ভবিষ্যতে মায়ার হাতে গ্রুপের দায়িত্ব হস্তান্তরিত হলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর